
আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, অপরাজেয় বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ভিপি ইব্রাহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দৃশ্যমান আর অদৃশ্যমান ডেঙ্গু দেখতেছি ১০-১১ বছর ধরে। যে ডেঙ্গুর কামড়ে গণতন্ত্র নেই। আরেক ডেঙ্গুর কামড়ে খালেদা জিয়া ছটফট করতেছে জেলখানায়, সেখানে ওষুধ নেই। রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, আইন এবং নিয়ম বহির্ভূত যত ধরনের নির্যাতন আছে তা খালেদা জিয়ার ওপরে চলছে। কিন্তু আমরা নির্বাক তাকিয়ে আছি।
সাবেক এই মন্ত্রী আরো বলেন, খালেদা জিয়ার তো জেলে যাওয়ারই কথা না। যখন তিনি (শেখ হাসিনা) জেল দিয়েছেন, তখন কি আর খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে নাকি? ডেঙ্গুর কামড়ে মানুষ মরে পাঁচ-সাত দিনে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে যে ডেঙ্গু কামড় দিয়েছে, তা খালেদা জিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছাড়বে না। শেখ হাসিনা তো খালেদা জিয়াকে ছাড়বে না। কিন্তু আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। তার জন্য আমাদের চেষ্টা ও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি আমরা চেষ্টা না করে শুধু দোয়া করি তাহলে তো হবে না।’
বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এই সরকারের কাছ থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি তো দূরের কথা, একজন সাধারণ মানুষের মুক্তিও পাওয়া যাবে না। আইন, শাসন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডেঙ্গুর হাতে। এখানে কিছু করার নেই। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি করতে পারবো না। সুতরাং জাতীয়তাবাদী দল যে আন্দোলন করার যোগ্যতা রাখে, সে আন্দোলন না করা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের মুক্তি হবে না, খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না।’