এডিস মশা নিধনে সোমবার থেকে চিরুনি অভিযানে নামবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। অভিযানের নির্ধারিত সময়ের পর কারো বাসায় বা আশপাশে লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর এই ঘাতক মশার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পাঠ্যপুস্তকেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একটি অ্যাপসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তাঁরা। স্কাউট ভবনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ৪০ প্রাণ, যদিও বেসরকারি হিসাবে তা ১০০’র ঘর ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। আর দেশের হাসপাতালগুলোতে সরকারি হিসাবে এখন ভর্তি আছে সাত হাজার ৭১৬ জন, আর এখন পর্যন্ত ঘাতক এডিসের আক্রমণের শিকার হয়েছেন ৪২ হাজার ২৪৩ জন। মহানগর থেকে নগর হয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এডিস মশার বিস্তার যখন আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে তখন ঢাকা উত্তর নগর পিতা জানালেন, সর্বাত্মক যুদ্ধে মাঠে নামবেন তাঁরা।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন যারা সমাজের জন্য কাজ করতে চান, এখানে স্কাউট আসতে পারে, এখানে জনপ্রতিনিধি আসবেন, সবাইকে নিয়ে এক একটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগ করে কাজ হবে। ম্যাপিং হয়ে গেছে। আমরা চিরুনি অভিযান করব। প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমরা দেখাব যে এখানে লার্ভা পাওয়া যায় কি না যায়। স্টিকার বানিয়েছি। যেখানে লার্ভা পাওয়া যাবে, মেনশন করে দিব যে এখানে লার্ভা পাওয়া গেছে। এটা হচ্ছে প্রথম ১০ দিন। এরপর আমরা আবার যাব দেখতে ওই বাড়িগুলোর কী অবস্থা। তারপরও যদি লার্ভা পাওয়া যায়, বিনয়ের সাথে বলছি ফাইন ছাড়া আর কোনো গতি থাকবে না।’
স্টপ ডেঙ্গু নামে মোবাইল এ্যাপস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেয়রের এ বক্তব্যের সাথে সুর মিলিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই মশার থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়।’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কারিকুলামে গরুর রচনা পড়িয়ে আমার কতটুকু লাভ হবে। তারচেয়ে বরং ট্রাফিক সিগন্যাল পড়ানো, এডিস মশা কী জিনিস শেখানো, কোথায় জন্ম হয়, ছোটবেলা থেকে শিখলে, লাইফে অ্যাপলিকেশন আছে এমন যদি সিলেবাসে থাকে তবে অসুবিধা কোথায়? কোন রচনা পড়াব, কোন গল্প পড়াবো এ সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘স্টপ ডেঙ্গু’ অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করবে সরকারের পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং চারটি সংস্থা।