Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪, সোমবার,১৯আগস্ট ,২০১৯ঃ  আজ সোমবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে আমরা খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছি না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে প্রত্যাশার কিছুই নেই।’

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তিন দিনের সরকারি সফরে আজ ঢাকায় আসছেন। তাঁর এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফর, দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ, তিস্তার পানি ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো বিষয়গুলো প্রধান্য পাবে বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে আমরা খুব বেশি প্রত্যাশা দেখছি না। কারণ, গত ১০ বছর ধরে আমরা শুনে আসছি, এই আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সুউচ্চ পর্যায়ে আছে। এখন পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিসাব আমরা পাইনি। সীমান্তে হত্যা বন্ধ হয়নি। আমাদের যে সব ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণ করার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের কোনো সমস্যাই সমাধান হয়নি। হয়েছে ভারতের সব সমস্যার সমাধান।’

‘চামড়ার বাজারের এমন অবস্থার জন্য বিএনপি দায়ী’- বাণিজ্যমন্ত্রীর এ মন্তব্যের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তারা তো কোনোভাবেই দেশ চালাতে পারছে না। এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। একটা অনির্বাচিত সরকার দেশ চালাতে পারে না। পার্লামেন্ট বলেন, আর সরকারই বলেন, কোথাও সরকারের কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই এ ধরনের অর্বাচীন কথা বলা ছাড়া তো তাদের আর কোনো কাজ নেই।’

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের এয়ার পোর্ট সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের জায়গা চাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খবরটি পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। তবে বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত এটাতে রাজি হয়নি। রাজি হওয়ার প্রশ্নই নেই। কারণ, আমার দেশের জায়গা অন্য কাউকে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।