Sat. Jun 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪, মঙ্গলবার,২০আগস্ট ,২০১৯ঃ  ডেঙ্গু রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। কেবল মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২৬ চিকিৎসক আর ৩৫ সেবিকা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এদের কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরও পিছপা হননি তারা। সাধ্যের সবটুকু দিয়ে দাঁড়াচ্ছেন ডেঙ্গু আক্রান্তদের পাশে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সেবিকা শঙ্করী মিস্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালনের পর বাড়ি ফিরেই জ্বর। ধরা পড়ে ডেঙ্গু। নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা শঙ্করী এখন আছেন আইসিইউতে। ১৮ আগস্ট সিজারিয়ান সেকশনের কথা থাকলেও তার রক্তের প্লাটিলেট লাখের নীচে নেমে যাওয়ার এ মুহূর্তে সম্ভব নয় অস্ত্রোপচার।

ঠিক পাশের বেড থেকে ছাড়া পেয়ে এখন সাধারণ ওয়ার্ডে আরেক সেবিকা রেশমী বাড়ী ফেরার ক্ষণ গুনছেন।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ডা. নাজিম তৃতীয়বারের মত ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে আবার কাজে নেমেছেন পুরোদমে।

ডা. নাজিম বলেন, খুব বেশি কিছু না হওয়ায় আবারও কাজে নেমে পড়েছি।

এমন গল্প প্রতিটি হাসপাতালের। মুগদা জেনারেল হাসপাতালেই চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ চিকিৎসক আর ২২ সেবিকা। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আক্রান্ত ১১ চিকিৎসক আর ১৩ সেবিকা।

বিভিন্ন হাসপাতালের সূত্র বলছে, ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৯ জন চিকিৎসক ও চার জন সেবিকা। তবু চলছে দিনরাত এক করে এই দুর্যোগ মোকাবিলা।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল রউফ বলেন, এডিস মশা ভর্তি কোন রোগীকে কামড় দিয়ে অন্য কাউকে কামড়ালে সেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।

নিজেদের সুরক্ষায় যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও পেশাদারিত্বের কাছে অসহায় এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, লিখিত আদেশ দেয়া হয়েছে সবাইকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৪০।