
এদিকে দক্ষিণ সিটিতে দলটির প্রার্থী হতে পরেন ইশরাক হোসেন। একাধিক নেতার সূত্রে এমনটি জানা গেছে।
তাবিথ আউয়াল বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে। আর ইশরাক হোসেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে। বিএনপিতে মিন্টু ও খোকার অবদান অনেক। সে হিসেবে তাদের ছেলেকে সামনে আনছে দলটি।
এর আগে ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম দফা নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল বাস প্রতীকে বিএনপির পক্ষ হয়ে লড়েছিলেন।
সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হক তাবিথ আউয়ালকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। তবে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে তাবিথ নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, প্রথমবার পরাজিত হলেও তাবিথ আউয়ালের শিক্ষা, নির্বাচনের অভিজ্ঞতা, তারুণ্য ইত্যাদি বিবেচনা করে দল তাকেই চূড়ান্ত করবে।
যদিও ঢাকা সিটির বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এ মুহূর্তে সরকার নির্বাচন নাও দিতে পারে। কারণ প্রাণঘাতি ডেঙ্গুর আক্রমণে রাজধানীর অবস্থা এখন করুন। সেই সঙ্গে দুই মেয়রের ব্যর্থতার চিহ্নও ভেসে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।
তবে নির্বাচন পিছিয়ে গেলেও বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত ও নির্বাচন প্রস্তুতি এখন থেকে নেবে বলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, তার দল সব স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে মোতাবেক সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও যাবে। তাই প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা দুই সিটির নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পছন্দ তাবিথ ও ইশরাক। ইতোমধ্যে তাদেরকে দিয়ে বেশ কিছু কাজের মাধ্যমে সামনে আনছেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট হওয়ার কথা। কুরবানির ঈদের আগে স্থায়ী কমিটিতে বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে- জাতীয় ও স্থানীয় যে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তাবিথ আউয়াল বলেন, গতবার প্রার্থী ছিলাম। নির্বাচনের পর থেকেই উত্তর সিটি করপোরেশনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখনো করছি। নির্বাচনের জন্য আমি প্রস্তুত।