
একই সঙ্গে সড়ক নিমার্ণে প্রকৌশলগত ত্রুটি ও পথচারীদের অসচেতনাকেও দায়ী করা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার কারণ খুঁজতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল। সমস্যা সমাধানে ১ শ ১১টি সুপারিশও করেছে কাউন্সিল।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে ওই প্রতিবেদন তুলে দেন জাতীয় সড়ক নিরারাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের পাশপাশি সমস্যা সমাধানে বাস্তবায়নযোগ্য ১ শ ১১টি সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। এর মধ্যে আশুকরণীয় ৫০টি, স্বল্পমেয়াদী ৩২ টি এবং দীর্ঘ মেয়াদী ২৯ টি সুপারিশ রয়েছে।
এরমধ্যে দ্রুততম সময়েসড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা ও শিক্ষা, প্রচার-প্রচারণা, মহাসড়কে প্রকৌশলগত ত্রুটি সমাধান, গতিরোধক, বাস স্টপেজ, বাস-বে, ডিভাইডার, লেন, লেভেল ক্রসিং, মহাসড়কের সঙ্গে গ্রামীন রাস্তার সংযোগ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করা।
বৈঠক শেষে সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেদন গ্রহন করা হলো মাত্র। এই প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করা হবে।আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন কাউন্সিল ফের বৈঠকে বসার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় চায়-একটি টাস্কফোর্স গঠন করে, ওই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা রোধে ওইসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে।
এর আগে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য চলতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারী ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় । সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানকে এ কমিটির প্রধান। পরবর্তীতে এই কমিটিতে আরও ৮ জন সদস্যকে কোয়াব করা হয়। কমিটি পরপর ৭টি সভার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে এবং সুপারিশমালাসহ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। এ প্রতিবেদনে মোট ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে।