
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাস্তায় নামেন কাশ্মীরের বহু মানুষ। তারা সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ জানান। এসময় ভারত সরকারের বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেন। কাশ্মীর ইস্যুতে সমর্থন দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে ধন্যবাদ জানান তারা।
একজন বলেন, ‘কোনও অবস্থাতেই আমার ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবো না। এতে যদি প্রাণও যায়, তবুও আমাদের যুদ্ধ চলতে থাকবে। আমরা মোদিকে বলতে চাই, যেকোনো মূল্যে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করবো।’
আরো একজন বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সঙ্কটের সমাধান চাই। কিন্তু ভারত সরকার পুরো এলাকায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। কোন অবস্থাতেই তাদের কাছে আমার মাথা নত করবো না।’
কোন উসকানি ছাড়াই সাধারণ কাশ্মীরিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা দেয় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। টিয়ার সেল এবং রবার বুলেট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হয়। এসময় প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আহত হন বহু কাশ্মীরি।
জম্মু কাশ্মীরের মতো ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে, শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে পাকিস্তানের করাচি, ইসলামাবাদ, মোজাফফরাবাদসহ বেশ কিছু শহরে। প্রতিবাদকারীরা কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। অবিলম্বে কাশ্মীর ইস্যুতে হস্তক্ষেপের জন্য তারা জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।
কাশ্মীরের একজন বলেন, ‘কাশ্মীর ইস্যুতে একতরফা সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ভারত পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। তবে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষই এর জবাব দেবে।’
এদিকে শুক্রবার কাশ্মীর সীমান্তে পাক সেনাদের গুলিতে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।