মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুব মহিলা লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওই মতলবি মহল একবার কোটা আন্দোলন, একবার নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনকে পুঁজি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করেছে। এখনও সেই ষড়যন্ত্র চলছে।
রোহিঙ্গাদের নেতা মুহিবুল্লার ২০ মিনিটে ৫ লাখ লোককে ঐক্যবদ্ধ করে সমাবেশ ও রাজনৈতিক দল করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন কী? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব বিষয় আমাদের নলেজে আছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য আমরা দিয়ে যাচ্ছি, আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে যারা নোংরা খেলা খেলতে চায় তাদের ব্যাপারেও আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে। সময়মত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে কখনো যাবে না, বাংলাদেশ কি প্যালেস্টাইন হতে যাচ্ছে এ বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন এই বিষয়টি একেবারেই অযৌক্তিক বিষয়। এটার কোনো বাস্তবসম্মত ব্যাখা নেই। ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজভূমে পরবাসী। রোহিঙ্গারা নিজভূমে পরবাসী? তারা বিদেশে আসছে। বাংলাদেশ তো তাদের ভূমি না। কাজেই এর সঙ্গে তুলনা হয় না।
‘দেশে ঘোরতর অমানিশা চলছে’ বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ অমানিশা চলছে এটা নিয়ে দেশে বিদেশে কারো কোনো মন্তব্য নেই। বাংলাদেশে যদি অমানিশা চলে তাহলো বিএনপির রাজনীতিতে অমানিশা চলছে। সে কারণে তারা আজকে দিশেহারা পথিকের মত ছুটে বেড়াচ্ছে। যখন যেখানে যা খুশি তাই বলেছে। প্রধানমন্ত্রীকে পর্যন্ত অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের প্রতিনিধিরা বিদ্বেষপ্রসূত কথাবার্তা বলে, যেটা রাজনীতি বা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কিন্তু কাউকে তো কোনো হুমকি দেয়া হচ্ছে না, কথাবার্তা বলার জন্য। এখন আপনারা সমাবেশ ডেকে, ধর্মঘট ডেকে ঘরে বসে যদি ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখেন তখন কার কি বলার আছে৷ আপনার নিজেরাই নিজেদের গুটিয়ে ফেলেছেন। আন্দোলন করার সৎ সাহস আপনাদের নেই।
রংপুর-৩ উপনির্বাচনে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা এ পর্যন্ত কোনো উপনির্বাচনে কাউকে ছাড় দেইনি। যার যার ইলেকশন তাদের দলীয় প্রতীকে তারা করবে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকবে, আওয়ামী লীগও প্রার্থী রাখবে।
তিনি বলেন, সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। জাতীয় পার্টির এরশাদ সাহেবের আসন, তারাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এখানে ছাড় দেয়া বা ভাগভাগীর বিষয় নেই। যার যার প্রতিদ্বন্দ্বিতা যার যার প্রতীক নিয়ে। আমারও সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার রত্নাসহ যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।