
বয়সভিত্তিক এই আসরে লাল-সবুজদের সবচেয়ে বড় বাধা নেপাল। হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে দুঃসহ স্মৃতি রয়েছে লাল-সবুজদের। তবে সর্বশেষ মুখোমুখিতে জয় বাংলাদেশের। নেপাল যদি পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামে, বাংলাদেশও সবশেষ জয়ের স্মৃতি নিয়ে মাঠে নামবে। ২০১১ সালের সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গ্রুপ সঙ্গী হয়েছিল নেপাল।
গ্রুপপর্ব থেকে নেপাল চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্সআপ হিসেবে খেলেছিল সেমিফাইনাল। গ্রুপের ম্যাচে হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ২-০ গোলে হেরে যায়। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হেরে গিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন ভেঙে যায় নেপালেরও। সেমির পরাজিত দল হিসেবে তৃতীয় স্থান দখলের লড়াইয়ে আবারও দেখা হয় বাংলাদেশ ও নেপালের।
ওই ম্যাচে নেপাল ২-১ গোলে জেতায় চতুর্থ হয় বাংলাদেশ। পরের আসরে দু’দল দুই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠে আবারও মুখোমুখি হয়। বাংলাদেশকে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে নেপাল। ২০১৭ সালে দু’দলের দেখা হয় শেষ চারে। ৪-২ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে নেপাল। পরের বছর দ্বিতীয়বার শিরোপা জেতে বাংলাদেশ দল। ওই আসরে আবারও একই গ্রুপে খেলেছে দু’দল। এ-গ্রুপে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় লাল-সবুজরা।
ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার মো. মহসিনের কথায়, ‘আমরা দুটি ম্যাচ জিতেছি। ছেলেরা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। নেপালের সঙ্গে খেলার আগে ফিটনেস লেভেল নিয়ে কাজ করছেন কোচরা। জিততেই হবে আমাদের। আশা করি, ভারতের সঙ্গে জিতেই ফাইনাল খেলব আমরা।’
অধিনায়ক রাকিবুল ইসলামের প্রত্যয়ী উচ্চারণ, ‘নেপালের সঙ্গে ভালো খেলেই জেতার চেষ্টা করব। দলে কোনো ইনজুরি নেই। হালকা সমস্যা রয়েছে। ম্যাচের আগে ঠিক হয়ে যাবে। আক্রমণাত্মক খেলতে চাই।’ দুই ম্যাচেই গোল পাওয়া আল মিরাদের কথা, ‘ব্যাক টু ব্যাক দু’ম্যাচেই গোল পেয়েছি। ভালো লাগছে। নেপাল ম্যাচেও দেশের জন্য গোল করে জেতাতে চেষ্টা করব। দেশকে জেতানোর জন্যই খেলব।’