খােলাবাজার ২৪, রবিবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ঃ তিতকুটে স্বাদের জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু শরীরে পুষ্টিগুণ বাড়াতে উদ্ভিজ্জ তিতা খাবারের তুলনা নেই। এসব খাবারে থাকা নানা উপাদান ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও চোখ, লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যেমন-
করলা : গবেষণা বলছে, নিয়মিত ২ হাজার মিলিগ্রাম শুকনো, গুঁড়া, সিদ্ধ, রস কিংবা রান্না করলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এছাড়া এর অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল গুণ শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।
ফলের খোসা : বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস ফলের পাশাপাশি এর খোসাও অনেক উপকারী। তিতা হলেও লেবু, কমলা, জাম্বুরার মতো ফলের খোসা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড শরীরের প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শরীর ডিটক্স করতে সহায়তা করে।
নিমপাতা: প্রাকৃতিক ভাবেই নিমপাতা জীবাণুনাশক। ত্বকের নানা অসুখ দূর করতে ও জীবাণুনাশক হিসেবে এ পাতা যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্নায়বিক সমস্যা সারাতে এবং ক্ষুদ্রান্তে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধেও নিমাপাতা ভূমিকা রাখে।
মেথি: মেথি শাক আর মেথির দানা দুটিই তিতা স্বাদের। তবে এদের গুণের তুলনা নেই। এ গুলোতে থাকা বিভিন্ন খনিজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে শরীরে অম্লের ভাব কমাতেও ভূমিকা রাখে। মেথি ও মেথি শাক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চুলের পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে মেথি।
সজনে ফুল: সজনে ফুল ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগ সারায়। সেই সঙ্গে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, সর্দি-জ্বরের উপশমে ভূমিকা রাখে। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকায় প্রসূতি মায়ের জন্যও এ ফুল উপকারী।
গ্রিন টি : কেটেকিন এবং পলিফেনল থাকায় গ্রিন টি বেশ তিতকুটে স্বাদের হয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
কফি : তিতা স্বাদের কফি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস ও হদরোগের ঝুঁকি কমায়।