
গত ৭ আগস্ট। সারাদেশের হাসপাতালে একদিনেই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় প্রায় আড়াই হাজার। সেই সংখ্যা কমে এখন নেমে এসেছে হাজারেরও নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২০ এ। যা আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ৩৭ জন বেশি হলেও সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকেই। এখনো হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হলেও আগের তুলনায় কমেছে সংকটাপন্ন রোগীর ভর্তি।
হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর এক স্বজন বলেন, প্রথম দিকে (রোগী) চোখ মেলতে পারতো না, খাওয়া দাওয়া করতে পারতো না। অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো। জোর করে খাওয়াতে হতো। এখন অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ডাক্তার বলেছে আজকে বাড়ি যেতে না পারলেও ইনশাল্লাহ কালকে চলে যেতে পারবো।
এমন পরিস্থিতিতেও শঙ্কা কাটেনি, বলছেন চিকিৎসকরা। তাদের মতে বৃষ্টি হলেই বাড়তে পারে এডিসের উপদ্রব।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এ কে এম মামুন মোর্শেদ বলেন, নতুন করে বৃষ্টি হলে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে পানি জমে সেখানে মশা বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র মিলেছে রাজধানীর সরকারি বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও। তবে পরিসংখ্যানের উন্নতিতে স্বস্তি প্রকাশ করলেও সচেতনতার বিকল্প নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
হলি ফ্যামেলী রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার এজাজ আহমেদ বলেন, মশা যে শুধু ডেঙ্গু রোগ ছড়ায় তা নয়, এছাড়া আরোও অনেক মশা আছে যারা অন্যান্য রোগ ছড়ায়। সেহেতু মশাকে কন্ট্রোলে সারাবছরই রাখতে হবে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, আমাদের প্রোটেশনটা ভালো মত নেই। আমরা মশার ব্রিডিং পয়েন্টগুলো যদি ধ্বংস করতে পারি, তাহলে মশা উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৫৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমার সাথে সাথে একদিকে যেমন কাটছে সংকট। তেমনি স্বস্তি ফিরছে চিকিৎসকসহ জনমনে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল পেতে এডিস বা ডেঙ্গুকে বিশেষ কোনো মাসের ফ্রেমে না বেঁধে বছরব্যাপী প্রতিরোধ মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।