
শিশুদের দুষ্টুমি থেকে রক্ষা পেতে তাদের হাতে স্মার্টফোন বা ট্যাব ধরিয়ে দেয়া হয়।
কার্টুন বা মজার ভিডিও ছেড়ে শিশুদের সাময়িক শান্ত করার চেষ্টা করা হয়। এভাবে একটা সময়ে ধীরে ধীরে শিশুরা ডিজিটাল আসক্তিতে ভোগে।
গবেষকরা বলছেন, শৈশবে প্রযুক্তির অধিক ব্যবহার মানুষের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে ব্যাঘাত ঘটতে পারে শিশুদের লেখাপড়া ও সুস্থ মানসিক বিকাশে।
সম্প্রতি ‘দ্য অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স ও ক্যানাডিয়ান সোসাইটি অব পেডিয়াট্রিক্সের বিজ্ঞানীরা কোন বয়সের শিশুকে কতটুকু প্রযুক্তির সংস্পর্শে নেয়া উচিত, সে সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, দুই বছরের আগে শিশুদের সব গ্যাজেট থেকে দূরে রাখাই উচিত। ওই বয়সে ইন্টারনেট, আইপ্যাড বা টেলিভিশনে অভ্যস্ত হলে শিশু স্বভাবে অস্থির হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শোনে।
তাই আসুন জেনে নেই শিশুকে এই ধরণের ডিজিটাল আসক্তি থেকে বাঁচানোর উপায়-
- অভিভাবকদের শিশুদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে।
- শিশুকে ঘরের বাহিরে পর্যাপ্ত খেলাধুলার সুযোগ ও ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
- শিশুকে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত করতে হবে।
- তাকে ভালোভাবে দেশীয় কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে পরিচয় করাতে হবে।
- প্রয়োজন না হলে শিশুদের কাছে ফোন না রাখাই উত্তম।
- শিশুরা কোন কোন ওয়েবসাইট পরিদর্শন করছে, তা সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।
- বিভিন্ন ফিল্টারিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও আপত্তিজনক ওয়েবসাইট ফায়ারওয়াল প্রোটেকশন দিয়ে বন্ধ রাখতে হবে।
- ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ চর্চায় নিয়োজিত করার পাশাপাশি শিশুকে ইন্টারনেটের খারাপ দিক সম্পর্কেও সচেতন করতে হবে।