খােলাবাজার ২৪, শুক্রবার, ৬সেপ্টেম্বর, ২০১৯ঃ বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসেবে খ্যাত ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পুনরায় তফসিল মোতাবেক- ১৪ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রার্থী। তালিকা ঘোষণার পর থেকে এই ছাত্রনেতা তার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিয়তই যোগাযোগ রাখছেন বলে তৃণমূলের কাউন্সিলরা আমাদের খোলাবাজার২৪ডটকমের জেলা প্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে জানিয়েছেন। তারা মনে করেন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ যোগ্য প্রার্থী।
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জিয়া পরিবারের এক বিশ্বস্ত নাম, এই ছাত্রনেতা স্কুল ও কলেজ জীবনে ছিলো পিরোজপুর ছাত্রদলের পরিচিত মুখ, পিরোজপুরেরে এক গৌরবময় কৃতি সন্তান, তার বাবা ছিলেন পিরোজপুর জেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্টাতা সভাপতি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, মিছিলের অগ্রভাগেই ছিল এই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিছিলে অতর্কিত ভাবে গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। আর মিছিলের সামনে থাকা সিরাজুল ইসলাম গুলিতে মাটিতে পড়ে এবং পুলিশ নির্মম ভাবে সিরাজুল ইসলাম সিরাজের পেটে অস্র ঠেকিয়ে গুলি করে।
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গুলি বিদ্ব অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে পড়ে থাকে। গুলিতে সিরাজের পেট থেকে মুহুর্তেই নাড়িবুড়ি বেড়িয়ে আসে।পরে এই ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে এক পথচারীর মহিলা রিক্সসা করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়েযায়।
সংবাদ পেয়েই ছুটে যান সেখানে বিএনপি মহাসচিব সহ সিনিয়র অনেক নেতৃবৃন্দ, সিরাজের চিকিৎসার সর্বক্ষণিক খোজ খবর সহ সমস্ত দায়িত্ব নেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।দীর্ঘ চিকিৎসা,লাইফ সাফোর্ট ও শরীরের অনেক অংশ কেটে ফেলা,পাঁচটি মারাত্মক অপারেশনের পর সুস্থ হয় সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ মানেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে এক আদর্শ ছাত্রনেতার নাম।সিরাজের উপস্থিতিতে বিএনপিসহ সকল সংগঠনের প্রোগ্রাম হয়ে উঠে উৎসব মুখর।সিরাজুল ইসলাম মানেই স্লোগান, তার স্লোগানে রাজপথ কাপিয়েদেয় বিএনপি ও ছাত্রদলের সিনিয়র নেতারা তার নাম দিয়েছেন স্লোগান মাস্টার।
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এর রাজনৈতিক পরিচয়ঃ স্কুল ও কলেজ জীবনে ছিলো পিরোজপুর ছাত্রদলের পরিচিত মুখ, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ত্যাগী ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-গন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।তার বাবা ছিলেন পিরোজপুর জেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্টাতা সভাপতি।
৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় সংসদের জাতীয় কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা, সাবেক সহ-গন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ খোলাবাজার২৪ডটকমকে বলেন, তৃর্নমূলের কাউন্সিলররা যদি সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন তাহলে আমি আশা করি আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। তৃর্নমূলের কাউন্সিলররা আমাকে ভালবাসেন তৃর্নমূলের উপরে আমার আস্থা আছে তারা আমাকেই আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
মেধাবী ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ আরও বলেন, কাউন্সিলের যে কোন রায় আমি মেনে নিব।জিয়া পরিবারের জন্য রাজপথে আছি, ভবিষ্যতে ও থাকবো, প্রয়োজনে আবারও রক্তঝরাতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য যে, ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পুনরায় তফসিল মোতাবেক- ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।