Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,শনিবার,৭সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে দামও নেমে এসেছে সহনীয় পর্যায়ে।
গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে ইলিশের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে। সেই সঙ্গে দামও নেমে এসেছে সহনীয় পর্যায়ে। পাশাপাশি রাজধানীর কাঁচাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। ডিম ও মুরগির মাংসের দামও কিছুটা কমতির দিকে।ফলে কাঁচাবাজারে ক্রেতাদের জন্য কিছুুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম আগের মতোই বাড়তি রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি রুই ও কাতলা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, বাইন (বড়) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চিংড়ি (হরিনা) ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, বাগদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, গলদা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কই মাছ ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মুক্তাদির বলেন, বাজারে ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধির সাথে চাহিদাও বেড়েছে। দিন যত যাচ্ছে, বাজারে ইলিশের সরবরাহও বাড়ছে। দামও প্রায় প্রতিদিনই কমছে।

ফলে মধ্যবিত্তের পাশাপাশি নিম্নবিত্তরাও এখন ইলিশ মাছের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় এখনো নদ-নদীর পানি না বাড়ায় অন্যান্য মাছের সরবরাহ কম বলে জানান তিনি।

এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বাজারভেদে প্রতি কেজি পটোল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, উসতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে শসার দাম কিছুটা কমলেও টমেটো ও গাজরের দাম এখনো বাড়তিই রয়েছে। প্রতি কেজি টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৬০
থেকে ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও দেশি শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারের বিক্রেতা ফরমান আলী জানান, কিছুদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেতে নতুন করে সবজির ফলন শুরু হয়েছে। তাই বাজারে সবজির সরবরাহও বেড়েছে বলে দামও কিছুটা কমেছে।

এ সময় ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন পর সবজির দাম কিছুটা কমেছে। গত তিন-চার মাস ধরে তো ৫০-৬০ টাকার নিচে কোনো সবজিই কেনা যায়নি। এখন ৩০ টাকায়ও কিছু কিছু সবজি মিলছে। এটা বহাল থাকলেই মধ্যবিত্তরা খুশি।

তবে বাজারে আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা। দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর মাংসের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ফার্মের লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, আর প্রতি ডজন হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।