
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনের রিসোর্সফুল পল্টন সিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম নামক একটি সংগঠন এ তথ্য জানায়।
জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮ জন। মার্চ মাসে নিহত হয়েছেন ৫ জন। এর মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ২ জন শিশু রয়েছে। আহত হয়েছেন ৩ জন। এপ্রিল মাসে ২০ জন নিহত হয়েছেন। ১৭ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ১ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছে। এ মাসে আহত হয়েছেন ৮ জন।
মে মাসে নিহত হয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন, নারী ৮ জন, শিশু ১ জন এবং কিশোর-কিশোরী ৩ জন। ২৪ জন আহত হয়েছেন। জুন মাসে নিহত হয়েছেন ৬৬ জন। এর মধ্যে নারী ১১ জন, শিশু ৩ জন, কিশোর-কিশোরী ২ জন এবং ৫০ জন পুরুষ রয়েছেন। এ মাসে আহত হয়েছেন ১৮ জন।
জুলাই মাসে মোট নিহত হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে নারী ৪ জন এবং ৪৩ জন পুরুষ। এ মাসে আহত হয়েছেন ২৫ জন।
এছাড়া আগস্ট মাসে বজ্রপাতে মোট ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন নারী, ২ জন কিশোর-কিশোরী ও ৩১ জন পুরুষ রয়েছে। এছাড়া এ মাসে আহত হয়েছেন ১১ জন।
এ বছর সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা জেলায়। এ জেলায় চলতি বছরে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল জেলায় বজ্রপাতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এর পর বেশি নিহত হেেয়েছ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় মাছ ধরতে গিয়ে।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে মাঠে গরু আনতে গিয়ে এবং টিন ও খড়ের ঘরে অবস্থান ও ঘুমোনোর সময় বজ্রাঘাতে বেশি মানুষ মারা গেছে। একই সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় অজ্ঞতাবসত লম্বা গাছের নিচে আশ্রয় নেয়ার সময় গাছে বজ্রপাত হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মাসুদ রানার সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন পাঠ করেন- সংগঠনের সেক্রেটারি রাশিম মোল্লা, বক্তব্য রাখেন- গবেষণা সেল প্রাধান আব্দুল আলীম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ সভাপতি সোহেল রানা, তিতুমীর কলেজ ইউনিট সদস্য হাসনাইন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের সদস্য জুবাইর হুসাইন প্রমুখ।