
রহমত আলী জানান, মাটি ছাড়াই সবজির চারা উৎপাদন করার কাজে একটি বেসরকারী সংস্থা সহযোগিতা করেছে। ওই এনজিও সংস্থা তাকে সকল পরামর্শ প্রদানসহ উপকরন সরবরাহ করেছে।
চলতি বছরের গত মার্চ মাস থেকে এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের কাজ শুরু করেন। প্রথমে চারা তৈরীর জন্য ওই সংস্থার নিকট থেকে এ পর্যন্ত ১৬০টি ট্রে, কোকোবিট (নারিকেলের ছোবলার পচানো গুড়া), নেটসহ উপকরন ক্রয়ে খরচ পড়েছে ৩০ হাজার টাকা। একবারেই এসব ক্রয় করতে হয়েছে। তবে চারা বিক্রির পর কোকোবিট ক্রয় করতে হয়। কোকোবিট ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। একই ট্রে এবং নেট কয়েক বছর চলে যাবে কিনতে হবে না।তিনি আরও জানান, প্রথমবারেই ১০ হাজার চারা উৎপন্ন করে বিক্রি করেছেন প্রায় ১৮ হাজার টাকা। এবারে উৎপন্ন করা চারা বিক্রি করে তার আরও লাভ বেশি আসবে। কারন প্রথমবারে যে উপরকনগুলো কেনা হয়েছিল, সেটি আর কিনতে হচ্ছে না বলে। এখন বেগুন, মরিচ, পেঁপে, পাতাকপি, ফুলকপিসহ নানা ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এখানে সব মৌসুমের আগেই চারা উৎপন্ন করে বিক্রি করা যায়। এতে ভাল দাম পাওয়া যায়। অনেক কৃষক আগাম সবজির চারা কেনার জন্য অর্ডার দিচ্ছে। চাহিদা বাড়ছেই। তাই আমার চারা উৎপাদনে ট্রে’র সংখ্যা বাড়িয়ে আরও বড় আকার করার চেষ্ঠা করছি।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান বিষয়টি তারা অবগত রয়েছেন কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউই তার সাথে যোগাযোগ রাখেন নাই।