Thu. Apr 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,সোমবার,১৬সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের দায়ে সমালোচনার মুখে থাকা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা ঝড়।

ছাত্রলীগের অনেকে কেন্দ্রীয় নেতা তাদের ফেসবুক থেকে শোভন-রাব্বানীর সঙ্গে থাকা ছবি সরিয়ে ফেলেছে। নতুন নেতাদের ছবি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে। অনেকেই শোভন-রাব্বানীর ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে তাদের অপকর্ম তুলে ধরে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।

শোভন-রাব্বানীর কঠোর সমালোচনা করে অনেকেই দেশের সর্ববৃহৎ এ ছাত্র সংগঠনের আগামী দিনের ভবিষৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে, দায়িত্ব থেকে অব্যহতির পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সাবেক এ  দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা। অনেকেই গোলাম রাব্বানীর কঠোর সমালোচনা করার পাশাপাশি তাদের অপরাধের পরিসীমা নিয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।

শোভন-রাব্বানীর কঠোর সমালোচনা করে ফারহানা তানিয়া নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, ‘ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।’

শাহাবুদ্দিন হাওলাদার নামে একজন লিখেছেন, ‘এটাই রাজনীতি। আজ ক্ষমতা আছে কাল নাই। এটা সব রাজনৈতিক দলেই হয়। এই খবরে আমাদের উৎফুল্ল না হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত’।

আতাউর রহমান নামে একজন লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এবার তৃণমূল পর্যায়ের দাগী চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করে তাদের হাত থেকে ছাত্রলীগকে রক্ষা করুন।’

আল মুর্তাজা নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘সবকিছুই সুন্দরভাবে সমাধান করতে পারতো। যেই পক্ষ টাকার ভাগ কম পেয়েছে, তারাই গোমর ফাঁস করে দিছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো-একপক্ষের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পুরা দেশের সামনে একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করে দিলেন।’

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতার কারণে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সভায় তিনি শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর আ’লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যহতি দেয়া হয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবীসহ বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা, কমিটি দিতে অর্থনৈতিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেরিতে যাওয়া এমনকি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।