Thu. Apr 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,১৭সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ  ‘ঈদ সালামি’ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের এক কোটি চাঁদা দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না। তদন্তে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যায় করলে কেউ পার পাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী পথ দেখিয়েছেন, সহযোগী সংগঠনগুলোর উচিত এ থেকে শিক্ষা নেয়া

কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠা জাবি ভিসির পদত্যাগের দাবির বিষয়টিকে সরকার কীভাবে দেখছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ কী কারণে, নৈতিকস্খলন, সেটা যদি তদন্ত করে প্রমাণ হয়, তিনিও কোনো আইনের ঊর্ধ্বে নন। তিনি যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, এখানে যদি তার কোনো অপকর্মের সংশ্লিষ্টতা থাকে, তদন্তে যদি এটা প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য আওয়ামী লীগের সম্মেলন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ঈদুল আজহা’র আগে ঈদ সালামি হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাখা ছাত্রলীগকে ১ কোটি টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেন জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ঈদ সালামি বাবদ ১ কোটি টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা নিয়েছেন ৫০ লাখ টাকা, সাধারণ সম্পাদক এসএম আবু সুফিয়ান চঞ্চল নিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা, আর তিনি (সাদ্দাম) নিয়েছেন ২৫ লাখ টাকা।

এর আগে চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত হওয়া গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেন, জাবির উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা হয়ে না দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে ভিসি ফারজানা ইসলাম ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। অন্যদিকে জাবি ভিসি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো টাকা দেননি। বরং রাব্বানী ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন তার কাছে কয়েক দফায় উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেট থেকে ৪ থেকে ৬ শতাংশ টাকা ঈদ সালামি দাবি করেন।

এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তিনি বলেছেন, সাদ্দাম মিথ্যা বলছেন, তিনি এই মিথ্যা বলা বন্ধ না করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।