
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।’
সাধ্যের মধ্যে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে এর যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
যাত্রা শুরুর ৬ বছর পর প্রথমবারের মতো সমাবর্তন হয় এ নার্সিং কলেজের। যার অতিথি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা ৯৭ কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দেন তারা।
পরে সেবার মান বৃদ্ধি ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে নবীন নার্সদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতে যে সমস্ত মেডিকেল কলেজ আছে তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে নার্সিং কলেজ করার জন্য। যত বেশি নার্স তৈরি করা যাবে তত বেশি দেশের চাহিদা পূরণ হবে, বিদেশেও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গতবছর ৫১০০ সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যারা এখানে সিনিয়র হয়ে যায় তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছু কিছু নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছে।’
বেসরকারিভাবেও যে যুগপযোগী শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখা যায় তার অনন্য দৃষ্টান্ত বঙ্গবন্ধু মোমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই নার্সিং কলেজ। মানবতার সেবায় বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার কথা জানিয়ে এ সময় সরকারপ্রধান বলেন, ‘এমন সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত।’