Fri. Jun 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বুধবার,১৮সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ৩৭০ ধারা তুলে দেয়ার পর থেকেই এ আতঙ্ক বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। এর মধ্যেই আতঙ্কে গাছে রাত কাটানোর খবর এলো গণমাধ্যমে।

সম্প্রতি নির্যাতনের ভয়ে সেখানকার অনেক যুবকের রাত কাটছে গাছের মগডালে। আর খাবার হিসেবে খাচ্ছেন সেই গাছের ফল। এক ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর দিয়েছে।

পত্রিকাটি জানিয়েছে, সেদিন গ্রামে রাতে হানা দিয়েছিল ভারতীয় বাহিনী। ভয়ে পাশের বাগানে গিয়ে আপেল গাছে উঠে পড়েছিলেন মোহম্মদ মাল্লা। গোটা রাত সেখানেই কাটাতে হয়েছে ওই যুবককে।

কাশ্মীরের পুলওয়ামার রামহু গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার কোপে থাকা কাশ্মীরে গত কয়েক দিন ধরে তাঁদের এমনই আতঙ্কে দিন কাটছে।

রামহুরের এক বাসিন্দারা জানান, গত সপ্তাহে বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দাদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, তারপর থেকেই রাতে গ্রামে হানা দেওয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বাসিন্দাদের বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িঘর, গাড়ি ভাঙচুর করছেন। কেড়ে নিচ্ছেন বাসিন্দাদের পরিচয়পত্র।

স্থানীয় মসজিদগুলোর লাউড স্পিকার থেকে ঘোষণা আটকাতে সেগুলোর প্রবেশপথই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইমামদেরও হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

বাসিন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই গ্রামের ২৩ জন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির পর থেকে আর তাঁদের দেখা পাননি পরিবারের সদস্যেরা।

গ্রেফতারির ভয়ে এখন গ্রামের বাইরে রাত কাটাচ্ছেন অনেক যুবক। তাদেরই মধ্যে একজন মোহম্মদ মাল্লা। রামহু থেকে ফোনে বললেন, কয়েক দিন আগে সন্ধ্যায় নমাজের ঠিক আগে শিষ শুনতে পেলাম। গ্রামে বাহিনী ঢুকলে এভাবেই শিষ দিয়ে একে অপরকে সতর্ক করি আমরা। গ্রামের পাশেই আমার বাগিচা। সেখানে পালিয়ে গেলাম কয়েকজন।

তিনি আরও জানান, ভয়ে আপেল গাছে উঠে পড়ি। রাতে আর ফেরার সাহস পাই নি। গাছেই রাত কাটিয়েছি। ক্ষুধা মিটিয়েছি আপেল খেয়ে।

পুলওয়ামার পুলিশের মুখপাত্রের বক্তব্য, যারা গোলমাল পাকাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবেই। ওই গ্রামের কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে পাথর ছোড়ার অভিযোগ আছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কেবল রামহু নয়, গোটা পুলওয়ামা জেলাতেই এখন ব্যারিকেডের ছড়াছড়ি। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি ছাড়া রাস্তায় নেই কোনো যানবাহনও।