খােলাবাজার ২৪,শুক্রবার,২০সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ মতিঝিল ক্লাব পাড়ায় অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদা মাহমুদ ভুঁইয়া। তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রিমান্ডে খালেদ বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
খালেদ অনেক প্রভাবশালী নেতা এবং এমপির নাম বলেছেন। যাদেরকে তিনি নিয়মিত ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকার ভাগ দিতেন। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে যে, খালেদকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল রাশেদ খান মেননকে কিভাবে ক্যাসিনোর সভাপতি করা হয়েছে? জানা গেছে যে, এর জবাবে খালেদ বলেছেন যে, যেহেতু তিনি স্থানীয় এমপি সেজন্য তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। ক্লাব চালানোর জন্য ক্যাসিনো প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন। এমনকি যখন নতুন নতুন কিছু ক্যাসিনো সামগ্রী এসেছে, সেটাও রাশেদ খান মেননকে অবহিত করা হয়েছে বলে খালেদ গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাশেদ খান মেননকে খালেদ প্রতিমাসে মাসোয়ারা দিতেন। চেয়ারম্যান হিসেবে এটা তার পারিশ্রমিক ছিল। এটা কত জানতে চাওয়া হলে খালেদ জানান, কোন মাসে দুই লাখ টাকা। কোন মাসে দেড়লাখ টাকা।
তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, খালেদের সবকথাই যে তারা বিশ্বাস করছেন তা নয়। খালেদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হবে। এই অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর ক্ষেত্রে যদি রাশেদ খান মেনন যুক্ত থাকেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, যেহেতু ইয়ংমেন্স ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা চলতো এটা প্রমাণিত এবং রাশেদ খান মেনন এটির চেয়ারম্যান ছিলেন, কাজই তিনি এটার দায় এড়াতে পারেন না।