খােলাবাজার ২৪,বুধবার,২৫সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃবানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় বানারীপাড়ায় প্রথম পাকহানাদার বাহিনীকে নিয়ে গিয়ে পিস কমিটি গঠন করার নেতৃত্ব দেওয়ায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামালের বিচার দাবী করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল বুধবার সকালে বানারীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় সভায় ওই দাবী জানান হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীণ বেজ কমান্ডার বেণী লাল দাস গুপ্তের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক ও মুক্তিযুদ্ধকালীণ বানারীপাড়া থানা ফিল্ড কমান্ডার আলহাজ্ব কাজী হায়দার আলী। সকল বক্তারা তাদের বক্তৃতায় বলেন বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ সৈয়দ শহীদুল হক জামাল ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম বানারীপাড়ায় পাকহানাদার বাহিনী নিয়ে এসে বন্দর বাজারের হরিসভা মন্দিরে বসে তার ভগ্নিপতি আলী মিয়াকে সভাপতি ও আ.রব হাফেজকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা পিস কমিটি গঠন করেন। ঢাকার বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের রেখে যুদ্ধের পুরো ৯ মাস শহীদুল হক জামাল বরিশালে অবস্থান করে নেপথ্যে থেকে পাকবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। এর ফলে পাকবাহিনী ও রাজাকার আলবদর আলশামসরা বানারীপাড়ার গাভা নরেকাঠি ও তালাপ্রসাদে গণহত্যা, বন্দর বাজারে অগ্নিসংযোগ, স্বরূপকাঠির সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আটঘর-কুড়িয়ানা এলাকায় পেয়াবাগান কেটে ফেলা, লুটপাট, ধর্ষণ, গনহত্যা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এসব কারণে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তদন্তপূর্ব সৈয়দ শহীদুল হক জামাল সহ অন্যান্য রাজাকারদের বিচার হওয়া উচিত বলে তারা মন্তব্য করেন। এসময় সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারাও একই দাবী জানান। সভায় অন্যান্যেন মধ্যে বক্তৃতা করেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার মীর সাইদুর রহমান শাহজাহান, বানারীপাড়া সদর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইনুল হক, বাইশারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জগন্নাথ, উদয়কাঠি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহ আলম, চাখার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান হোসেন, সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও ইলুহার ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাষ্টার আ,সালাম, মুক্তিযোদ্ধা আ.লতিফ সরদার, আ.জলিল, ইসমাইল রাড়ী প্রমুখ।