Thu. Apr 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,২৬সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্যাসিনো বা জুয়ার ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাজধানীর ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর গণমাধ্যমে তথ্য প্রকাশের পর আত্মগোপনে রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট। ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে জুয়াড়িদের কাছে পরিচিত তিনি। তাকেও যেকোনো সময় ধরা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, তথ্য প্রমাণ পেলে যুবলীগ নেতা সম্রাটকেও ধরা হবে। যার বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ পাব, তার বিরুদ্ধেই আমরা অ্যাকশনে যাব। কাউকে আমরা ছাড় দিচ্ছি না।

একটি বিশ্বস্ব সূত্র জানায়, দলের নেতাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আরেকটি বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, একজন তো ক্রসফায়ারের (ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট) হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। আরেকজন (খালেদ) প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে চলাফেরা করে। অথচ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর সরকারের শাসনামলে এমন কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

দলের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কয়েকদিন আগে তিনিসহ আওয়ামী লীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম গণভবনে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান।

এসময় ক্ষুব্ধ দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ নেতা নানক ও আজমকে যুবলীগের সাবেক শীর্ষ নেতা হওয়ায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বর্তমান সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে আসা চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার কত সাহস যে আঞ্জুমান মুফিদুলের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছে। এসময় মির্জা আজম বলেন, নেত্রী যা শুনেছেন তা ঠিক নাও হতে পারে। তখন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁদের জানান, তাঁর কাছে সঠিক তথ্য রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ও রেহানা আমাদের জাকাতের টাকা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামকে দিই। আর সেখানে সম্রাট চাঁদা দাবি করে! তার কত সাহস। সে কি মরবে না? তার কি মরার ভয় নেই? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম ও ছাত্রলীগের সাবেক ওই কেন্দ্রীয় নেতা চুপ করে শোনেন। তাঁরা এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি।