আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে, গত ১০ বছরে কোন কোন আওয়ামী লীগ নেতা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে, কারা সিঙ্গাপুরে এবং অন্যান্য দেশে অবৈধ প্রক্রিয়ায় টাকা পাচার করেছে তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে গোয়ন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন।
আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জন করেছেন, ক্যাসিনো বাণিজ্য করেছেন, তাদের অধিকাংশ টাকাই বিদেশে পাচার হয়েছে বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা মনে করছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। আর এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রথমেই শুরু হচ্ছে, যারা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছে তাদের তালিকা সংগ্রহ।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে, প্রাথমিক তদন্তে তারা পেয়েছে অন্তত তিন শতাধিক আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছেন। তবে এরা সবাই যে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বা অনিয়ম করে সেকেন্ড হোম করেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এমনটি মনে করছে না।
প্রাথমিক তদন্তে তাদের কাছে মনে হয়েছে যে, ১১০ থেকে ১২৫ জন অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছেন। ১০ বছর আগে যাদের কিছুই ছিল না তারা ফুলেফেঁপে উঠেছেন। এদের প্রায় সবাই অবৈধ প্রক্রিয়ায় টাকা উপার্জন করে বিদেশে পাচার করেছেন। এদের বিরুদ্ধে অভিযান খুব শিগগিরই শুরু হবে বলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে।