
এ দিন বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হোসেন টুকুসহ বিভাগীয়, মহানগর এবং জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত আছেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
সমাবেশে নিরাপত্তার স্বার্থে তৎপর রয়েছে প্রশাসন । বিশৃঙ্খলা এড়াতে টহল গাড়িসহ সাদা পোশাকে তৎপর রয়েছে পুলিশ। এর আগে ২২ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
এদিকে রাজশাহীর বিভাগীয় সমাবেশকে ঘিরে গতকাল শনিবার ৮০ জন নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ করেছে বিএনপি। এছাড়া সমাবেশ উপলক্ষে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখারও অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির দফতর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন বলেন, ‘সমাবেশকে কেন্দ্র করে গতকাল ৮০ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সমাবেশ যাতে সফল না হয়, সেজন্য বিভিন্ন এলাকার বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেন, ‘গত তিন দিনে মোট ১৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বিভিন্ন মামলায় ও দুর্নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
ইফতেখায়ের আলম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী জেলা পুলিশের নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানে মোট ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশ জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানা ৬ জন, তানোর থানা ৭ জন, মোহনপুর থানা ১ জন, পুঠিয়া থানা ৩ জন, বাগমারা থানা ৭ জন, দূর্গাপুর থানা ৪ জন, চারঘাট মডেল থানা ৮ জন ও বাঘা থানা ৮ জনকে আটক করে। এরমধ্যে ৩২ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং ১২ জনকে মাদকদ্রব্যসহ ও অন্যান্য মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘গত তিন দিনে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অযথা কাউকে হয়রানি করতে গ্রেফতার করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য নেই।’