Thu. Apr 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

  খােলাবাজার ২৪,সোমবার,৩০সেপ্টেম্বর,২০১৯ঃ ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে সাত কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। রোগা-পাতলা হয়ে শরীরকে স্পোর্টিং করে তুলেছিলেন। এবার ওজম কমিয়ে চমকে দিলেন তামিম ইকবাল। ওজন কমায় বয়সটা যেন পাঁচ-ছয় বছর কমে গেছে তার। ত্রিশ বছর বয়সী বাঁহাতি এ ওপেনারকে দেখাচ্ছে ২৪ বছরের তরুণের মতো। গত এক মাসে সাড়ে পাঁচ কেজি ওজম কমাতে পেরেছেন তিনি। শরীরকে হালকা-পাতলা বানাতে ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়েছে তামিমকে। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান জানালেন, থাইল্যান্ডে এক মাস ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে ফিটনেসও বেড়ে গেছে বহুগুণ। যে কারণে গত পরশু বিপ টেস্টে ক্যারিয়ারসেরা ১২.১ স্কোর করতে পেরেছেন তিনি। এককথায় এবারের জাতীয় লীগে নতুন এক তামিম ইকবালকে দেখতে পাবেন সমর্থকরা।

সাকিব ওজম কমিয়েছিলেন আইপিএল চলাকালে ভারতে। এর পরই আয়ারলান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং বিশ্বকাপে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ৮৬.৫৭ গড়ে ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান করার পাশাপাশি ১১টি উইকেটও শিকার করেছেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্যাম্পে থাকায় সাকিবের পক্ষে ওজন কমানো যতটা সহজ হয়েছে তামিমের জন্য অতটা সহজ ছিল না। একে তো ছন্দে ছিলেন না, তার ওপর বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং করতে হয়েছে একা একা।

তামিমের চ্যালেঞ্জটা আরও একটা জায়গায় থাকছেই, ফিটনেসে উন্নতি করে ক্রিকেটে ফিরছেন ঘরোয়া লীগ দিয়ে। চার বছর পর আগামী ৮ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে চারদিনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলবেন তিনি। তামিম লীগে খেলবেন মূলত ভারত সফরের জন্য প্রস্তুতি নিতে। নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এজন্য ভালো একটা প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে হবে দেশসেরা এ ওপেনারকে। জাতীয় লীগে খেলে হয়তো ভালোভাবেই সেটা করতে পারবেন তিনি।

গত তিন মাস মোটেও ভালো যায়নি তামিমের। বিশ্বকাপে রান করেননি। শ্রীলংকা সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়েও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাননি। ওই সিরিজে তামিম ও জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ছিল হতাশ করা। কলম্বোতে স্বাগতিকদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগার বাহিনী। নিজের ও দলের ব্যর্থতায় তামিমের মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়। এই মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতেই শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলের খেলা থেকে বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট এবং তিন জাতি টি২০ সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন তিনি।

তবে ছুটিতে শরীরে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে না বেরিয়ে নিজেকে একান্তে প্রস্তুত করেছেন একটু অন্যভাবে। বিদেশের মাটিতে নিজস্ব খরচায় ট্রেনার নিয়োগ দিয়ে জিম ও ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন চট্টগ্রামের এ ক্রিকেটার। এই ফিটনেসই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তাকে। যে কারণে গত শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিপ টেস্টে তুলতে পেরেছেন স্টার মার্ক। ক্যারিয়ারে এই প্রথম ফিটনেস পরীক্ষায় এত ভালো করায় তামিমের আত্মবিশ্বাসের পারদটাও উঠে গেছে চূড়ায়। যেটা জাতীয় লীগে ভালো খেলতে সাহায্য করবে তাকে।

ফিটনেস পরিকল্পনা থেকে জাতীয় লীগে চট্টগ্রামের নেতৃত্বেও থাকছেন তামিম। গতকাল জানালেন, একজন সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবে লীগে খেলবেন তিনি। ম্যাচ ফিটনেসে উন্নতি করার পরিকল্পনা থেকেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তামিমের, ‘ম্যাচে দুটি সেশন ফিল্ডিং করতে পারব। ব্যাটিং যতটা সম্ভব করব। এটা খুব কাজে দেবে।’ ভারত সফরের ক্যাম্প শুরুর আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তিন বা চারটি রাউন্ড খেলতে পারবেন। ধৈর্য ও একাগ্রতা দেখাতে পারলে সেরা একটা প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে জাতীয় লীগে ম্যাচ খেলে।