Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার,১ অক্টোবর, ২০১৯ঃ টাঙ্গাইলে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ মন্টি ঘোষ হত্যা মামলায় তার স্বামী রনি ঘোষকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

দণ্ডিত রনি ঘোষ টাঙ্গাইল শহরের সাহা পাড়ার রবি ঘোষের ছেলে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন। রনির বাবা রবি ঘোষ ও ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৩০ জুন গাজীপুরের নীলনগর গ্রামের চিনি ঘোষের মেয়ে মন্টি ঘোষের সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রনি ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বিয়ের আড়াই মাসের মাথায় রনি ঘোষ স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য মন্টির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মন্টিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন রনি। এ ঘটনায় পরদিন মন্টির বাবা চিনি ঘোষ বাদী হয়ে রনি ঘোষ, তার বাবা রবি ঘোষ, ভাই অজিত ঘোষ, সঞ্জিত ঘোষ ও রনির ভাইয়ের বউ পূর্ণিমা ঘোষকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ তদন্তের পর অজিত ঘোষ ও সঞ্জিত ঘোষকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সালাউদ্দিন। শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রবি ঘোষ ও পুর্নিমা ঘোষের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন এবং রনি ঘোষের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট একেএম নাছিমুল আক্তার নাছিম বলেন, মামলা চলাকালে রনি ঘোষ উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন।

টাঙ্গাইলের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, এই মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে রায়ে সন্তষ্ট নন মামলার বাদী চিনি ঘোষ। তিনি বলেন, যে দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।