Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
জয়নাল হাজারী আ'লীগের উপদেষ্টা, কিছুই জানেন না কাদের
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,৩অক্টোবর,২০১৯ঃ ফেনীর আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হাজারীকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী একথা বলেন।

বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জয়নাল হাজারীকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমার এ ধরনের খবর জানা নেই। খবর কোথা থেকে এলো, তাও জানি না। কে দিলো এই খবর, তাও জানি না। শুধু এটুকু জানি, ফেনী জেলা সম্মেলন হবে। একটা তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে কথা প্রসঙ্গে জয়নাল হাজারী অসুস্থ, তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছু সহযোগিতা করেছেন।

তিনি সিঙ্গাপুর গেছেন কি না নেত্রী সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। আমি বললাম, আমার কাছে এসেছিলেন, বলেছিলেন তিনি অপারেশনের জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন। এখানে উপদেষ্টা করার কোনো নির্দেশনা নেই।’

জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ফেনী-২ (সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০১ সালের ১৭ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান জয়নাল হাজারী। সংসদ সদস্য হিসেবে তার শেষ মেয়াদে নানা বিতর্কে জড়ান জয়নাল হাজারী। এ কারণে ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এর পর দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ফেনী থেকে হাজারিকা নামে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদকও তিনি।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ফিরেন তিনি। পাঁচটি মামলায় ৬০ বছরের সাজা হয় তার।

এর পর ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে আট সপ্তাহের জামিন পান হাজারী। পরে ১৫ এপ্রিল নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে পাঠানো হয় কারাগারে। চার মাস কারাভোগের পর ২০০৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত হন তিনি।

শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় সম্প্রতি জয়নাল হাজারীকে চিকিৎসার জন্য ৪০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।