
মাছের রাজা ইলিশ। আকার, আকৃতি, বর্ণ ও স্বাদে অতুলনীয় রূপালী ইলিশ। সেই ইলিশকে ঘিরে গতকাল বুধবার বরগুনায় উদ্যাপিত হলো বিশ্বের বৃহত্তম ইলিশ উৎসব। বরগুনা জেলা প্রশাসন ও জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে।
ইলিশ উৎসবকে ঘিরে সকাল থেকেই জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। র্যালিটে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে উৎসব প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে উদ্বোধনী নৃত্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইলিশ উৎসব। দিনব্যাপী উৎসবে জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে ২৫টিরও বেশি স্টল অংশ নেয়। স্টলগুলোতে ইলিশের একশ প্রকার রান্না খাবার প্রদর্শিত হয়। স্বল্প মূল্যে বিক্রি হয় পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীসহ বঙ্গোপসাগরের সুস্বাদু তাজা ইলিশ।
উদ্বোধনী নৃত্যে উঠে আসে আবহমান বাংলার জল-জাল ও জেলেদের জীবন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. মনিরা পারভিন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সমপাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মনির হোসেন কামালসহ অতিথিরা বলেন, বরগুনার পাথরঘাটায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মত্স্য পাইকারি ও বাজার কেন্দ্র বিএফডিসি। জেলার প্রধান তিন নদী পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বরসহ বঙ্গোপসাগর থেকে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ টন ইলিশ আহরিত হয়। তাই বরগুনায় একটি ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর স্থাপন জরুরি।