Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,৩অক্টোবর,২০১৯ঃ গরম হয়ে উঠেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এর মধ্যে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান আবারও প্যানেলবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

অন্যদিকে চিত্রনায়িকা মৌসুমী সভাপতি এবং ডিএ তায়েব সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আরেকটি প্যানেল নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফলে সভাপতি পদে নায়িকা ও ভিলেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে এবার। আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নতুন চমক হিসেবে দেখছেন সবাই।

বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গত দুবছরের অর্জন, ব্যর্থতার পাশাপাশি আগামী বছরগুলোয় কোন লক্ষ্যে কীভাবে এগিয়ে যাবেন এবং সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে মৌসুমী ও ডিএ তায়েবের লক্ষ্য এবং বিগত কমিটির ব্যর্থতা কী- এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

নির্বাচন নিয়ে চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, ‘সবারই লক্ষ্য থাকে মানুষের কল্যাণ করার, আমারও একই। তবে আলাদা করে বলতে গেলে নির্বাচিত হলে শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করব। শিল্পীদের নান্দনিকভাবে কাজের মূল্যায়ন করা, তাদের বিপদে পাশে থাকা সবকিছু। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী, তাই কাজ করে দেখাতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিল্পী সমিতির সমস্যা কী সেটা আমরা সবাই জানি। নতুন করে বলতে হবে না। আশা করি, এসব সমস্যা আমরা খুব সহজেই মিটিয়ে ফেলতে পারব।’

মৌসুমীর প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, ‘জয়-পরাজয় নিয়েই নির্বাচন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি একটি অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক সংগঠন। আমরা দুবছরে কী উন্নয়ন এবং অর্জন করেছি এটি সবার জানা। জীবন্ত কিংবদন্তি উপদেষ্টা নামক একটি কমিটি করেছি, যেখানে সোনালি দিনের তারকারা রয়েছেন। অনেক সিনিয়র শিল্পী সমিতিতে এলে বসার জায়গা ছিল না, আমরা সেটা করেছি। সমিতির সামনে বাগান থেকে শুরু করে অবকাঠামো ঠিক করেছি। ঈদ কিংবা পূজায় শিল্পীদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি, কোরবানির ঈদে পাঁচটি গরু কোরবানি করেছি শিল্পীদের জন্য। শিল্পীদের কেউ অসুস্থ থাকলে খবর নেয়া সেবাদানসহ ফান্ড তৈরি করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার জায়গায় মৌসুমী এলে তাকে স্বাগতম। আমি চাই শিল্পীদের উন্নতি, শিল্পের উন্নয়ন। মৌসুমী যদি আমার চেয়ে ভালো করতে পারে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আর জয়-পরাজয় নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। জিতলে আমি বাজিগর, হারলেও বাজিগর।’

ডিএ তায়েব বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আমি জিতি বা হারি এ নিয়ে আমার কোনো কষ্ট থাকবে না। যদি ভালো কিছু করতে হয় তার জন্য আসনের দরকার হয় না। কিন্তু তারপরও কথা বলার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা লাগে। সে কারণেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জায়েদ খান বলেন, ‘শিল্পী সমিতির জন্য কী করেছি এটা সবারই জানা। অনেক কিছুই হয়তো অর্জন করেছি। এসব নিয়ে চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবাই অবগত। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে সব শিল্পীর ভালোবাসা পেয়েছি। সিনিয়র যেসব শিল্পী এফডিসিবিমুখ ছিলেন তারা আজ সমিতিতে এসে গল্প করেন, আড্ডা দেন, জুনিয়রদের খোঁজখবর নেন- এটাই আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি। মূল কথা হচ্ছে, শিল্পীদের স্বার্থরক্ষায় সব সময় অটুট ছিলাম।’