খােলাবাজার ২৪, শুক্রবার, ০৪অক্টোবর, ২০১৯ঃ ইকুয়েডরে জ্বালানি তেলে সরকারি ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে মারাত্মক বিক্ষোভের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো।
সম্প্রতি, জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ৪০ শতাংশ সরকারি ভর্তুকি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সরকার। ফলে ডিজেল এবং পেট্রোলের দাম দ্বিগুণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি বছর সরকার জ্বালানি খাতে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো ভর্তুকি দেয়। এত বিশাল অংকের ভর্তুকি দেয়া তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয় বলে জানায় দেশটির সরকার।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। বাস, ট্যাক্সি, ট্রাক চালকরা রাজধানী কুইটোর রাস্তা ও ব্রীজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ কারণে পরিবহন ব্যবস্থা একেবারে অচল হয়ে গিয়েছে। পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যুক্ত থাকলেও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণও স্বতস্ফূর্তভাবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছে। বিগত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটি সর্ববৃহৎ আন্দোলন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজধানী কুইটোর ঐতিহাসিক কেন্দ্রে সরকারি দপ্তরের কাছে পাথর ও আগুনে বোমা নিক্ষেপকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়্যার গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় অনেক রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া পলা রোমো বলেন, বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত ৪৫ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১৯৭০ সালে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি নীতি চালুর পর সরকার এ নীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। সরকারের দাবি ইকুয়েডরের অর্থনীতিকে টেকসইসহ বিশাল অংকের ঋণের বোঝা লাঘব করতে ভর্তুকি প্রত্যাহার। এর আগে গত মঙ্গলবার ওপেক থেকে নিজেদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয় ইকুয়েডর।