Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,শনিবার,০৫অক্টোবর,২০১৯ঃ আগামী ৯ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ২২ দিন ইলিশ বিচরণ করে, এমন নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের প্রজনন মৌসুম হিসেবে এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ইলিশ রক্ষায় এসময় সবাইকে সচেতন থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সময়ে ইলিশ মাছ বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এবারের ভরা মৌসুমে সাগর ও মোহনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। এতে চাঁদপুরে ইলিশের পাইকারি মোকামগুলো বেশ জমজমাট হয়ে ওঠে। মূলত দক্ষিণের সাগর ও মোহনায় ধরা পড়া এবং চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশই এ মোকামে বিপণন হয়।

তবে মা ইলিশ ডিম ছাড়বে তাই আগামী ২২ দিন (৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত) মাছ ধরা ও বিক্রি বন্ধ থাকবে। এতে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে মোকামিরা।

অন্যদিকে, জেলেরাও বেকার হয়ে পড়বে এসময়। তাই সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা।

বিগত বছরগুলোতে প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার ফলে নদী ও সমুদ্রে বেড়েছে ইলিশের পরিমাণ। এসময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেন উপকূলের জেলেরা। কিন্তু মা ইলিশ বাংলাদেশের জলসীমায় থেমে থাকে না, ডিম ছাড়ার জন্য ভারতীয় জলসীমায়ও বিচরণ করে।

জেলেদের মতে, দু’দেশে যৌথভাবে মাছ ধরা বন্ধ করা গেলে ইলিশে ভরে যাবে সমুদ্র।

এছাড়া এই সময় বাংলাদেশি জেলেরা মাছ না ধরায় ফাঁকা থাকে সমুদ্র। এ সুযোগে দেশের সীমানায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করে বলে দাবি জেলেদের।

অবশ্য পাথরঘাটা ষ্টেশন দক্ষিণ জোন ষ্টেশন কমান্ডার আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে বলছেন, অবরোধের সময় বাংলাদেশি জলসীমায় যাতে কোনো ভারতীয় মাছ ধরা ট্রলার না ঢুকতে পারে সে ব্যাপারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের মাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ বিধি (প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন ফিস রুলস, ১৯৮৫) অনুযায়ী প্রতি বছর আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ২০১৬ সালে বাড়িয়ে ২২ দিন করা হয়।

এর আগে এ সময় ছিল ১৫ দিন। ২০১৫ সালের আগে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধের সময় ছিল ১১ দিন। গত বছর ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল।