অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, বর্তমানে যেখানে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে, শেয়ারবাজারে কোটি কোটি টাকা লুট, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় দেউলিয়াত্ব; সেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই কথিত দুই কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে বন্দী রাখা হয়েছে। অথচ ওই মামলার সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় এই মুহূর্তে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।তিনি বলেন, আজকে অনেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মানতে চান না। বলেন যে তিনি নাকি ‘বাইচান্স’ মুক্তিযোদ্ধা। আমি বলবো- আপনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র দেখুন। সেখানে লেখা আছে জেড ফোর্সের ভূমিকা কি ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই শহীদ জিয়াকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জাতির কাছে স্বস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় না।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দেশে আজ ভয়বাহ দুঃশাসন চলছে। গণতন্ত্র ধ্বংস। বাক স্বাধীনতা তো স্বপ্নের কথা। বালিশের দাম আকাশচুম্বী। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রাণান্তকর চেষ্টা। মধ্যরাতের ভোট চুরির প্রহসনের নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করেও শান্তি পাচ্ছে না শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশটাকে বিভিন্ন চুক্তির বেড়াজালে আটকিয়ে ভারতের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট, বিদেশে পাচার তাতেও কি শেষ রক্ষা হবে?
দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের চুনোপুটিদের বাসায় আলমারী খুললে কোটি কোটি টাকা আর ভরি ভরি স্বর্ণ বের হচ্ছে। তাহলে আওয়ামী লীগের রাঘববোয়ালদের আলমারি খুললে যে কি বের হয়! অথচ সাধারণ জনগণের আলমারি খুললে বের হয় শুধুই তেলাপোকা। তিনি অবিলম্বে অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।