Wed. Jun 11th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
আবরার হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভে ছাত্রলীগের ধাওয়া
খােলাবাজার ২৪,বুধবার,০৯অক্টোবর,২০১৯ঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। বুধবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশ’র পাদদেশে বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক রাফার নেতৃত্বে এই ধাওয়া দেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের ব্যানার কেড়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন রাফা। পরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দৌঁড়ে ক্যাম্পাস ছাড়েন।

এর আগে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুল হক রাফার ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে ধাওয়া করেন।

সমাবেশে জাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা আবরার ফাহাদ হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত সেসব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তিও দাবি করেন।’

জাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ তা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এটা শুধু আবরারের মনের কথা নয় এটা সমগ্র বাংলাদেশের দেশপ্রেমী মানুষের মনের কথা। দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি স্বাধীন দেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ মেনে নিতে পারে না।’

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলকে ধাওয়া দেয়া কি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ছিল কি-না জানতে চাইলে ছাত্রলীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক রাফা যুগান্তরকে বলেন, এটা কোন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ছিল না, সম্পূন্ন ব্যক্তিগত উদ্যোগ। আমি রিক্সা করে যাওয়ার সময় তাদের দেখে কয়েকটা হাঁক দিই। তখন তাদের কয়েকজন পালাতে থাকে। পরে বাকিদের সাথে কথা বিনিময় হয়। তখন তারা ক্যম্পাস ছাড়তে শুরু করে। আবার, তারা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে যাচ্ছিল না তখন আমি একটি গাছের গুঁড়ি নিয়ে ধাওয়া করি।’

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগে সভাপতি মো. জুয়েল রানা যুগান্তরকে বলেন, এটা আমাদের পরিকল্পিত ছিল না। রাফাকে দেখে ছাত্রদলের কর্মীরা বাজে টোন (মন্তব্য) করলে রাফা তাদের সভাপতি-সম্পাদকের কাছে এটার বিচার দেয় বা কথা বলে। তখন অন্য নেতা-কর্মীরা ভয়ে পালিয়েছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিনির্মাণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উস্কানিমূলক আরচরণ করেছে। যার জবাব দেয়নি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের এ উস্কানীমূলক আচরণই প্রমাণ করে তারা আবরার ফাহাদ হত্যা সমর্থন করে এবং এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় না।’