আর আইনজীবীরা বলছেন, র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেন না ভুক্তভোগীরা।
র্যাগিং। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের অপর নাম। বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের নামে চলে অমানবিক নির্যাতন।
মৃত্যুর মিছিলে সবশেষ সংযোজন বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। তার মৃত্যুর পরই বুয়েটে র্যাগিং সন্ত্রাসের আরো উদাহরণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করতে শুরু করেন বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের এক শিক্ষার্থী জানান, কাউকে পছন্দ না হলেই র্যাগিংয়ের নামে চলতো নির্যাতন। নেতৃত্ব দিতো ছাত্রলীগ কর্মীরা। গত বছর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বুয়েট ক্যাম্পাসে আসেন। সে অনুষ্ঠানে যারা অংশ নেননি তাদের মারধোর করা হয়। ভেঙে দেয়া হয় এক ছাত্রের হাত। আরেকজন মার খেয়ে ছেড়ে দেয় ক্যাম্পাস।
ভুক্তভোগী এক ছাত্র বলেন, আমরা বলেছিলাম আমরা সাধারণ ছাত্র, আমরা কেন যাবো? গেস্টরুমে ডেকে যারা যারা যায়নি তাদের প্রচুর মারধোর করা হয়েছে। আমি নিজেও ফুয়াদ মুহতাসিনের কাছ থেকে মার খেয়েছি। ১৬ ব্যাচের এ ছাত্রের হাত ভেঙে দিয়েছিল অমিত সাহা।
আইনজীবীরা জানান, দেশে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে কোনো আইন নেই। তাই ভুক্তভোগীদের সামনে খোলা থাকে না আইনি পথ।
সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলেন, আমাদের এখানে র্যাগিং করলে খুব একটা জোরালো কোনো আইন নেই। কিন্তু ইন্ডিয়াতে অ্যান্টি-র্যাগিং অ্যাক্ট আছে।
দ্রুত আইন করার দাবিও জানান এই আইনজীবী।