Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শুক্রবার,১১অক্টোবর,২০১৯ঃ গ্রামের মানুষরা প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা যেন গ্রামে বসেই পান সে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামেই সব ধরণের সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক বক্তব্যে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

দেশে শহরমুখী মানুষের স্রোত, এ অবস্থায় সরকার নাগরিকদের গ্রামাঞ্চলেই থাকতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। নগরায়নের লাগাম টেনে ধরছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, শহরের ওপর থেকে চাপ কমাতে তার সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

শেখ হাসিনা ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেন, বড় শহরগুলোতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকাটা দেশের জন্য বড় একটি সমস্যা। ঢাকা এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরের স্বীকৃতি পেয়েছে। ঢাকায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২৩ হাজার ২৩৪ জন মানুষ বাস করে।

আমরা গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করলেও মানুষের মধ্যে এমন ধারণা এখনো বদ্ধমূল যে- শহরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনের সুযোগ বেশি। তাই তাদের শহরে আসতে হবে।

এ পরিস্থিতিতে সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে বলে জানান শেখ হাসিনা। এছাড়া, গ্রামের মানুষ যেন গ্রামে থেকেও অনলাইনে কাজ করার সুযোগ পায়, আমরা তেমন উদ্যোগও নিচ্ছি।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য লড়াইয়ের প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা আগের চেয়ে অনেক বেশি অর্ডার করছেন। ফলে পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।

বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার বাংলাদেশ সরকারের কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে একশটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) তৈরি করছি। যেকোনো দেশ বা ব্যবসায়ী ওইসব অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে গিয়ে শিল্প কারখানা স্থাপন করে ব্যবসা করতে পারবে।

কোনো কোনো বিনিয়োগকারী মনে করেন, বাংলাদেশে কার্যত একদলীয় শাসন চলছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার অংশ। দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অত্যন্ত তৎপর একটি সুশীল সমাজও দেশে সক্রিয়। ফলে একদলীয় বিষয়টির কোনো অস্তিত্ব নেই দেশে।

দারিদ্র্যের হার কমাতে সরকারের পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের প্রধান শত্রুই হলো দারিদ্র্য। তাই দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছি আমরা।