
বাসে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা মামলার আসামি হওয়ার পরও দুই বছর আগে ঢাকার আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়কের পদ পান কবির হোসেন সরকার। ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও দুই বছরে তা হয়নি। এখন তার বিরুদ্দে জমি দখল ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের বেশ ক’জন নেতা জানান, কবির সরকার রাজনৈতিক পরিচয়ে ঝুট ব্যবসা ও মানুষের জমি জবর দখলের মাধ্যেমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন একটি বাহিনীও।
কবির হোসেন সরকারে বাড়ি গাজীপুরের কাশিমপুরে এলাকায়।২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পাশের এলাকা আশুলিয়ায় চলে এসে বিএনপি রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় ২০১৩ সালে অক্টোবর মাসে নরসিংহপুর বাসে অগ্নিসংযোগ, নাশকতা, বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে একাধিক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
আওয়ামীলীগের প্রার্থী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাবেক ইয়ারপুর ইউপি যুবলীগ নেতার মাথা ফাটিয়ে দেয়ার ঘটনায় এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের জন্ম দেয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে (নং-৫০)
গত বছরে ২১ ডিসেম্বর মহিবুর রহমান বাদি হয়ে মারধর ও চুরির অভিযোগে আশুলিয়ায় থানা মামলা দায়ের করে। গত ২২ মে কাশিমপুর থানায়, ৭ আগষ্ট আশুলিয়ায় থানা চাঁদাবাজি ও ঝুট ব্যবসা দখলের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের হয়। এছাড়া আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল,ঝুট ব্যবসা দখল সহ যুবলীগ নেতা কর্মীকে মারধরে অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকারে সাথে তার মুঠো ফোনে একাধিক ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।