Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,১৭অক্টোবর,২০১৯ঃ সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কি অভিযান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের লেখা চিঠি হাতে পাওয়া মাত্র ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা শুরু হলে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানে নামে তুরস্ক। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। তারপরও অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন এরদোগান।

গত ৯ অক্টোবর এ চিঠি পাঠানো হয়। এমন সময় এ চিঠি এরদোগানের নিকট পৌঁছায় যখন তিনি সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে একটি নিরাপদ জোন গড়ে তুলতে কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন।
পাঠানো ওই চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, কঠোর হবেন না, বোকামি করবেন না। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন হুঁশিয়ারিকে পাত্তাই দেননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, এরদোগান চিঠিটি কঠোরভাবে প্রত্যাখান করেন। যেদিন চিঠিটি আসে সেদিন কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত হামলা শুরু করে।

চিঠিতে এরদোগানকে উদ্দেশ্যে করে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি যদি সঠিক ও মানবিক উপায়ে এটা করেন, তাহলে ইতিহাসও আপনাকে সেভাবে স্মরণ করবে। যদি আপনি ভালোভাবে তা না করেন, তাহলে ইতিহাস আপনাকে চিরদিনের জন্য শয়তান হিসেবে আখ্যায়িত করবে।’

‘প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ট্রাম্পের এমন চিঠি দেখার পরপরই চরম উত্তেজিত হয়ে যান। তিনি চিঠিটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পাশে থাকা আবর্জনার স্তুপে ছুঁড়ে মারেন।’

অবশ্য, ট্রাম্প এমন চিঠি লেখায় নিজের দল ও কংগ্রেসে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। অনেকেই বলছেন, সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যদিয়ে তুরস্ককে অভিযান চালানের সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে।

সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১২৯ সদস্য বুধবার (১৬ অক্টোবর) ট্রাম্পের নিন্দা করে যে ভোটের আয়োজন করেন, তাতে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টি সদস্যরাও যোগ দেন।

সৈন্য প্রত্যাহার প্রশ্নে মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক হয়েছে বলেও জানা গেছে। বৈঠকের এক পর্যায়ে মিজ পেলোসি এবং সিনেট মাইনরিটি লিডার চার্লস শুমাখার বৈঠক ছেড়ে চলে যান।