উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার পত্রিকাটি জানিয়েছে, ২ দশমিক ৭৭ একরের প্লটটির স্বত্ব ত্যাগ করে সুপ্রিমকোর্টে একটি বন্দোবস্ত দাখিল করেছে ওয়াকফ বোর্ড।
এই জমিতেই ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মোগল আমলের মসজিদটি দাঁড়িয়েছিল। তখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়।
সূত্র জানিয়েছে, রামমন্দির নির্মাণের জন্য সরকার যদি জমিটি অধিগ্রহণ করতে চায়, তবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আপত্তি করবে না
তবে তার বদলে তারা সরকারের কাছে অযোধ্যার এখনকার মসজিদগুলোর সংস্কার এবং উপযুক্ত কোনো জায়গায় নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিতে পারে।
ওয়াকফ বোর্ড ভূমির দাবি ছেড়ে দিলেও বাকি দুই পক্ষ নিরমোহি আখড়া ও রাম লালার মধ্যে ভূমি বিরোধের মীমাংসা কীভাবে হবে, এ প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের ওই মধ্যস্থতাকারী কমিটি কিছু বলেছে কিনা, তা জানা যায়নি।
বুধবার বিতর্কিত এ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার দৈনন্দিন শুনানি শেষে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ মামলাটির রায় অপেক্ষমাণ রেখেছে।
১৭ নভেম্বর গগৈর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই মামলাটির রায় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মধ্যস্থতাকারী কমিটির প্রতিবেদনে যেসব প্রস্তাব ও শর্ত আছে, রায়ে তার প্রতিফলনই দেখা যাবে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।
সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি এফএম কালিফুল্লা ছাড়াও মধ্যস্থতাকারী কমিটিতে ছিলেন আধ্যাত্মিক গুরুখ্যাত শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ও আইনজীবী শ্রীরাম পাঞ্চু। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন তারা।
এ ভূমি বিরোধ মামলার রায় নিয়ে যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি না হয়, সে জন্য অযোধ্যায় চার বা তার বেশি লোক সমবেত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাজ্য সরকার।