Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শুক্রবার,১৮অক্টোবর,২০১৯ঃসাভার প্রতিনিধি : দেখতে অপরূপ সুন্দরী নারী ! দেখলেই বুঝার উপায় নেই তার ভিন্ন পেশা। এ পেশার পাশেও রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয় তার, তবে তিনি একজন সুন্দরী নারী। নাম তার মনিকা হাসান আশুলিয়ায় যুব মহিলা লীগের নেত্রী। অভিযোগ আছে, সাবেক এই মহিলা নেত্রী মাদক ও শারিরীক সম্পর্কে থানা এলাকায় ব্যাপক নাম রয়েছে তার । এ পেশায় শুধু তিনি নন, তার পরিবারের পুরো লোকজনই এ পেশায়। তাদেরকে রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন মনিকা হাসান। সাম্প্রতি আশুলিয়ায় যুব মহিলা লীগের নেত্রী মনিকা হাসানের বিরুদ্ধে স ও অসামাজিক কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আশুলিয়ার স্থানীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনা ঝড় উঠেছে। সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (হটলাইন নং-৪৩১ সূত্র-৪৪.০৪.০০০০.০০৬.২১.০০২.১৫.৪৫৯ তাং-২০/১২/২০১৫) অপারেশন ও গোয়েন্দা শাখার ডিআইজি (পিপিএম), এনডিসি তৎকালীন পরিচালক সৈয়দ তৌফিক উদ্দিনের স্বাক্ষরিত ০৪/২০১৭ নং অভিযোগপত্রে ১৫ দিনে মধ্যে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দির্নেশ প্রদান করেন। উক্ত অভিযোগ পত্রে অভিযুক্তদের মধ্যে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার শামীমের স্ত্রী মনিকা হাসানকে ইয়াবার ডিলার হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এতে অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে মনিকার ভগ্নিপতি মধ্য গাজীরচটের ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন (ইয়াবা/ফেনসিডিল ব্যবসায়ী), একই এলাকার মনিকার খালা ও প্রতিবেশী তারাজ উদ্দিনের স্ত্রী আয়শা বেগম (ইয়াবা ব্যবসায়ী), দক্ষিণ বাইপাইলের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী ও মনিকার খালাতো বোন নার্গিস (ইয়াবা ব্যবসায়ী), গাজীরচট এলাকার সারি উদ্দিনের ছেলে ও মনিকার মামাতো ভাই জাহিদ (ইয়াবা/ফেনসিডিল ব্যবসায়ী) এবং গাজীরচট মধ্যপাড়া এলাকার মনিকার খালু রনিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ওই অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, মনিকা হাসান নিজের বাসায় যুবক-যুবতিদের এনে ইয়াবা সেবনসহ অসামাজিক কাজ করায়। এছাড়াও বিত্তবানদের তার বাড়িতে এনে মাদক সেবনসহ অসামাজিক কাজ করানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়। আরো জানা যায়, ২০১৪ সালের আশুলিয়া থানার মাদক মামলা নং-১৩(৯)১৪ এতে মনিকার খালা আয়শা এজারহারভুক্ত আসামী, আশুলিয়া থানার ৩৭(৮)১৭ নং মাদক মামলায় মনিকার আপন মামী নাজমুন নাহার, মামা কাজল ও তার দুলাভাই আফজাল এজারনামীয় আসামী। আশুলিয়া থানার ৫৩(৭)১৭ নং মাদক মালায় যুবমহিলা লীগের নেত্রী মনিকার বড় মামা আমিন উদ্দিন ও তার বাবা আব্দুল মজিদ আসামী ছিলেন। একই থানার ৫৫(১১)১৭ নং মাদক মামলায় তার আপন খালু শহীদ ভুইয়া, একই সনের ২৬(৬)১৭ নং মাদক মামলায় তার খালাত বোন জামাই জসিম উদ্দিনসহ তার স্বজনদের মধ্যে একাধিক ব্যাক্তি আসামী ছিলেন। একই থানার ৮৯(৪)১৮ নং মাদক মামলায় মনিকার খালাত ভাই রাজু মিয়া, মামাতো ভাই জাহিদ এজাহারভুক্ত আসামী। এছাড়াও ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর. ১৫৩/১৯ নং মামলায় তার পরিবারের সকল সদস্যকে আসামী উল্লেখ করে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। মামলা ছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে হুমকিসহ একাধিক কারনে তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় বেশ কয়েকটি সাধারণ ডায়েরী করেন ভুক্তভোগীরা। আশুলিয়া থানা যুবমহিলা লীগের পরিচয়ে মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওই নেত্রী। সম্প্রতি ঢাকা জেলা যুবমহিলা লীগের নেত্রীগন তার এসব অপকর্মের দায়ে তাকে বাদ দিয়ে আশুলিয়া থানা যুবমহিলা লীগের একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করেন। জেলার নেত্রীগন তাকে কমিটিতে না রাখায় স্থানীয় ইউপি সদস্য থেকে শুরু করে অধিকাংশ নেতাকর্মীর বিরদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকিসহ অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন বলেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।