বুধ. মে ১, ২০২৪
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার,১৯অক্টোবর,২০১৯ঃরামিম হাসান,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে নারী সহ কমপক্ষে ১৫-২০জন আহত হয়েছে। ২৪টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে । শৈলকুপার তেঘরিয়া গ্রামে আজ দুপুর ১২টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ থেমে থেমে কয়েক ঘন্টাব্যাপী চলে । পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে, আটক করা হয়েছে ৪জন কে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, সারুটিয়া ইউনিয়নে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে বিএনপি ও জামায়াত- শিবিরের নেতা-কর্মীরা । নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নায়েব আলী পরাজিত ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর থেকে সংঘর্ষ চলে আসছে। ইউনিয়নটিতে বিএনপি-জামায়ত নেতা-কর্মীরা তুচ্ছ ঘটনায় একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে।

আজ শনিবার দুপুরে তেঘরিয়া গ্রামের নৌকা সমর্থক মিরাজ কে তার দুভাই ফিরোজ ও হাফিজ সামাজিক দল পরিবর্তনের জন্য চাপ দেয়। এনিয়ে ভায়ে ভায়ে দ্বন্দ্বের জেরে গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসংঘর্ষে সারুটিয়া ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি নাদপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান, শিবির কর্মী ইলিয়াস, ফিরেজ ও নাদপাড়া গ্রামের বিএনপি ওয়ার্ড সভাপতি ডাক্তার মজিবর রহমান, জিয়া, রহিম সহ বিএনপি-শিবিরের নেতা-কর্মীরা তেঘরিয়া গ্রামের আওয়ামী কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় । এতে তেঘরিয়া গ্রামের রুমি খাতুন, আব্দুল হাকিম, রুবেল হোসেন, বকুল হোসেন, সোরাপ, ইউনুস, আজিম, আকুল, আজব, আকাম, তারেক, আব্দুর রশিদ, আব্বাস, পারুল খাতুন, সেলিনা খাতুন, কাজলী সহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন কে গুরুত্বর অবস্থায় শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা জানিয়েছে তেঘরিয়া গ্রামের শফিকুল, আকরাম মাস্টার, বসির মন্ডল সহ পাশর্^বর্তী গ্রামের নাদপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, ফিরোজ হোসেন, দাউদ হোসেন, মেহেদী, রফিকুল, শরিফুল সহ বেশ কয়েকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে । কমপক্ষে ২৪টি বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মসলেম মন্ডল জানান, সারুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এর ইন্ধনে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা এমন হামলা চালিয়ে আসছে। আজকের হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মামুন সরাসরি উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান মামুন।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান জানিয়েছেন, দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকজন কে আটক করা হয় । সেখানে পুলিশ মোতায়েন আছে বলে পুলিশ জানান।