Thu. Jun 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,রবিবার,২০অক্টোবর,২০১৯ঃ সফিকুর রহমানকে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ বিএনপির সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তৃণমূল বিএনপি।  লাকসাম-মনোহরগঞ্জে রাজনীতিতে পরিচিত মুখ মোঃ সফিকুর রহমান সফিক।সফিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সাথে সম্পৃক্ত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। সফিকুর রহমান জিয়াউর রহমান হলে থাকা অবস্থায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।আর তখন থেকেই তিনি লাকসাম-মনোহরগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে তার পথ চলা শুরু।       
 
লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বিএনপিকে শক্তিশালী ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি ব্যাপক অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যয় করেন। লাকসাম-মনোহরগঞ্জে প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে বিএনপির সকল নেতাকর্মী-সমর্থকদের মন জয় করে নেন। ঢাবির এ মেধাবী ছাত্র সফিকুর রহমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় বিএনপির হাইকমান্ডে তার অবস্থান।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় সংসদ ছাত্রদলের কমিটিতে পর পর দু’বার নির্বাচিত রিজভী আহমদ-ইলিয়াছ আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও ফজলুল হক মিলন-নাজিম উদ্দিন আলম নেতৃত্বাধীন কমিটির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শহিদ জিয়া ও বাংলাদেশ, খালেদা জিয়া ও রাজপথ, বিএনপির প্রতিষ্ঠা ও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে বই প্রকাশ করেন এবং জাতীয় প্রেস ক্লাব সহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপির পক্ষে অসংখ্য সভা ও সেমিনার করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ তরুন লেখক সমিতির সভাপতি। আমরা জিয়ার সৈনিক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক আজকের জীবন ও সাপ্তাহিক স্পষ্ট কথা সম্পাদক ও প্রকাশক এবং ঢাকার ফকিরাপুলে ফেডারেল এন্টারপ্রাইজ ও ফেডারেল প্রিন্টার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে লাকসাম- মনোহরগঞ্জ বিএনপির প্রার্থী এ.টি.এম আলমগীর ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী কর্ণেল (অব:) আনোয়ারুল আজিমকে বিজয়ী করার জন্য দিন রাত কাজ করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করান। বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য লাকসাম- মনোহরগঞ্জে ব্যাপক অবদান ও শ্রম ত্যাগ দিলেও বিএনপি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে পর পর দু’বার ক্ষমতায় থাকা কালে কেন্দ্রীয় স্থানীয় অনেকের ভাগ্য বদল হলেও ঢাবির মেধাবী ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক এ নেতার কোন ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। তিনি পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বিএনপির জন্য অনেক কিছু করেও ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচন প্রাককালে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভুল সিদ্ধান্তে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৮৬ সাল হতে অদ্যাবদি পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত তিনি।
 
বিএনপির বর্তমান দুঃসময়। এ দুঃসময়েও তিনি মাঠে রয়েছেন। ঢাকা থেকে প্রায় লাকসাম- মনোহরগঞ্জে এসে দলের নেতা-কর্মীদের খোজ খবর নিচ্ছেন। দলের আদর্শ থেকে তিনি এখনো বিচ্যুত হননি।
সফিকুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউপির সমশেরপুর গ্রামে।
 
এদিকে যেকোন সময়ে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা হতে পারে। মনোহরগঞ্জ উপজেলা কমিটিতে সভাপতি হিসেবে সফিকেই প্রত্যাশা তৃণমূলের।
 
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, সফিকুর রহমান সফিক দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং যোগ্য নেতা। তিনি সভাপতি হলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হবে। তাছাড়া উপজেলা বিএনপির চলমান অচলাবস্থা দূর হবে এবং বিএনপির জন্য সুদিন ফিরে আসবে।
 
তাকে সভাপতি না রেখে যদি কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা পুনঃবিবেচনা জন্যও অনুরোধ করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিমত, আর তা-না হলে, মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি আস্থা হারাতে পারে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে।