রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় মেনন দাবি করেন, বরিশালে জেলা সম্মেলনে তিনি অআনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন। যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালে আমার ওই বক্তব্য ওই দুই লাইন উপস্থাপনের ফলে ভুল বোঝাবুঝিটা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমার ধারণা। কারো বাড়াবাড়ির কারণে যদি জনগণের ভোটদানের জায়গাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে তার অর্থ কিন্তু নির্বাচনকে অবৈধ করে দেয়া না। ওইটুকু ত্রুটি নিয়েই ওই নির্বাচন হয়েছে। একাদশ সংসদে সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু অভিজ্ঞতাটি সুখকর নয়।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরূপ মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক অঙ্গন। খোদ ১৪ দলের নেতারাই প্রশ্ন তুলেছেন তার অবস্থান নিয়ে। মেনন মন্ত্রী হলে এ ধরনের বক্তব্য দিতেন কি না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেই প্রশ্ন তুলেছেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাসিনো কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রাশেদ খান মেননকে।
জোটের আরেক শরীক নেতা হাসানুল হক ইনু মনে করেন, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধাবাদীর পরিচয় দিয়েছেন মেনন।
গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালে নিজ দল ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সম্মেলনে গেলো জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন রাশেদ খান মেনন। এ সময় তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীসহ আমিও বিজয়ী হয়ে এমপি হয়েছি। এরপরও আমি সাক্ষী, বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেননি। বিগত জাতীয়, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সরকার গঠন এবং বর্তমান সংসদের নয় মাস পর এমন বক্তব্য দিলেন বর্তমান মন্ত্রিসভায় ঠাঁই না পাওয়া এই ১৪ দল নেতা।
এ বিষয়ে ১৪ দল নেতা এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, শুদ্ধি অভিযানের সময় এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক সুবিধাবাদীর পরিচয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যখন নিজ দলে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন তখন জোট সঙ্গীদের এমন বক্তব্য সুবিধাবাদীর পরিচয় বহন করে। আমি এটা সমর্থন করি না।
এদিকে, রাশেদ খান মেনন কিভাবে সংসদ সদস্য হয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বলেন, ক্যাসিনো থেকে তার কমিশন পাওয়ার বিষয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যুবলীগ নেতারা যে তথ্য দিয়েছেন এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।