মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইলেক্ট্রনিকস এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় একটি ফেসবুক মামলায় এফিডেভিটের মাধ্যমে সময় চেয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ কোম্পানিগুলো তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল বিচারাধীন মামলা উচ্চ আদালতে স্থানান্তরের আবেদন জানালে সরকারের পক্ষ থেকে সময়ের এই আবেদন করা হয়।
সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকা জানায়, আইনটি চূড়ান্ত করতে আরো তিন মাস সময় লাগবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এটি চূড়ান্ত হবে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে পেশকৃত এফিডেভিটে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ভূমিকা রাখলেও ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার, ভুয়া সংবাদ প্রচার, সরকারি আদেশ, জাতীয় স্বার্থ বিরোধি কর্মকান্ড, মানহানিকর লেখা এবং অন্যান্য বেআইনী কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, মাদ্রাজ, মুম্বাই এবং মধ্য প্রদেশের হাইকোর্টে বিচারাধীন এতদসংক্রান্ত সকল মামলা উচ্চ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফেসবুক এবং হোয়াটসএ্যাপ মামলাগুলো সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে করা মামলাগুলো জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে শুনানি করা হবে।
এদিকে, তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার মামলাগুলো সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে আসছে।
তামিলনাড়ু রাজ্যের এ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনগোপাল বলেন, সরকার চাইলে ফেসবুক এবং হোয়াটসএ্যাপকে প্রয়োজনে যে কোন তথ্য সরকারকে দিতে হবে।
তামিলনাড়ু সরকার মামলাগুলো সুপ্রিম কোর্টে পাঠাতে সম্মত হওয়ার আগে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, হোয়াটসএ্যাপ এবং ফেসবুক তথ্য গোপন করতে পারে না।
ওই সময় কোম্পানি দুটো বলেছিল, তারা তথ্য দিতে পারে না। তারা শুধু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে পারে।
বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ বলেছে, সরকার গৃহমালিকের কাছে চাবি চায় এবং মালিক বলছে, তাদের কাছে চাবি নেই।
অপর দরখাস্তকারী ইন্টারনেট ফ্রিডম এসোসিয়েশন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে বলেছে, তাদের আবেদনটি ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের অপর একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। এই আদালত নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়, এমন কোন নির্দেশনা দেবে না বলে তারা আশা করছে।
সরকারি কৌঁসুলী তুষার মেহতা বলেছেন, আইনটি চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এতে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে না। তবে জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের জন্য এ ধরনের আইন প্রয়োজন।