প্রিন্সটনে কাজ করার সময় আইনস্টাইন রোজ প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে কর্মক্ষেত্রে যেতেন। কারণ আইনস্টাইন মনে করতেন এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।ভায়োলিন বাজাতে খুব পছন্দ করতেন আইনস্টাইন। মস্তিষ্কের সঙ্গে হাত আর চোখের সমন্বয় ঘটে। তাই প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভায়োলিন বাজাতেন তিনি। তিনি বলতেন, ক্ল্যাসিকাল মিউজিক কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমিয়ে মনকে চাপমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আইনস্টাইনের একটা বদভ্যাস ছিল ধূমপান। তার মুখে সারাক্ষণই পাইপ থাকত আর ধোঁয়ার কুণ্ডলী তাঁকে ঘিরে থাকত সর্বক্ষণ।
জানা যায়, শেষ জীবনে আইনস্টাইন নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালে বন্ধু ম্যাক্স ক্যারিয়েলকে চিঠিতে লিখেছিলেন, “আমি যখনই প্রাণীর মাংস খেতাম, ভিতরে ভিতরে একটা অপরাধবোধ জাগত।”
আইনস্টাইন কখনও মোজা পরতেন না। ছোট থেকেই এই অভ্যাস তৈরি হয়েছিল তার। তিনি বিশ্বাস করতেন, যেটা আরামদায়ক হবে সেটাই পরা উচিত। মোজা তার কাছে একেবারেই তেমনটা ছিল না।
আইনস্টাইন কখনও সাতার শেখেননি। এ দিকে তার ইচ্ছা ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলে ভেসে থাকা। ফলে নৌকা তার সেই ইচ্ছাপূরণ ঘটিয়েছিল।