Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
মিসরের প্রত্মতত্ত্ব পরিষদের মহাসচিব মোস্তফা ওয়াজিরির দাবি, একশতাব্দীতে এটাই তাদের সবচেয়ে বৃহৎ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার। অনেক বছর ধরে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের পর এটি মিসরীয়দের আবিষ্কার করা কফিনের প্রথম ভাণ্ডার। এর আগে ১৮৮১ ও ১৮৯১ সালে বিদেশিদের নেতৃত্বে খনন কর্মসূচি পরিচালিত হয়।

লাক্সরে ভ্যালি অব দ্য কিংসে হাটসেপসুট মন্দিরে কফিনগুলো উন্মোচন করা হয়। প্রত্নতত্ত্বমন্ত্রী খালিদ আল-আনানির মন্তব্য, প্রাচীন মিসরীয়রা কফিনগুলো যেভাবে রেখে গেছে এখনও সেসব তেমনই আছে! এগুলোর রঙ খুব বেশি মলিন হয়নি। মমিগুলো পুরোপুরি কাপড় দিয়ে ঢাকা। তাই কফিনের ওপর হাতের আকার দিয়ে তাদের লিঙ্গ চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসব হাত খোলা সেগুলোর নারী আর মুষ্টিবদ্ধ হাত পুরুষের।প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস মনে করেন, শিশুদের কফিন আবিষ্কারের ঘটনা বিরল। এ দুটি কফিন সারাবিশ্বের পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হবে বলে আশাবাদী তিনি। তার তথ্যানুযায়ী, মাটি থেকে ৩০ ফুট নিচে দুটি স্তরে স্তূপের মতো ছিল ৩০টি কফিন। ডাকাতি এড়াতেই এই পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা প্রত্নতাত্ত্বিকদের।

কফিনগুলোর ওপর মিসরীয় দেবদেবীদের অবয়বসহ বিভিন্ন নকশা খোদাই করা আছে। হাজার বছর যেন রঙ অটুট থাকে সেজন্য প্রাচীন মিসরীয়রা চুনাপাথর, লাল ওক ও ফিরোজার মতো প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করতেন। ফলে এগুলোতে চকচকে উজ্জ্বলতা এখনও দৃশ্যমান।