বুধবার (২৩ অক্টৈাবর) সকালে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ওই জেলেকে গুলি করা হয়।
তবে পুলিশের দাবি, জেলেরা পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শটগান থেকে রাবার বুলেট ছুঁড়েছে।
গুলিবিদ্ধ মাসুম আলী (৪৭) নামের ওই জেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মাসুম আলীর বাড়ি আড়াইহাজার উপজেলার লেঙ্গুরকান্দি গ্রামে।
আহত জেলে মাসুম আলীর ছেলে আব্দুল আলী জানান, সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীর বৈদ্যেরবাজার ও নুনেরটেক এলাকায় বুধবার সকালে তিনি ও তার বাবা দুপুরের খাবারের জন্য নদীতে মাছ ধরতে যান। এসময় সোনারগাঁওয়ের বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ি পুলিশ এসে তাদেরকে মাছ ধরতে নিষেধ করে। এসময় তারা দুপুরের খাবারের জন্য শুধু অল্প মাছ ধরবেন বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা তাদেরকে গুলি করার নির্দেশ দিলে একজন পুলিশ সদস্য তার বাবার মাথায় গুলি করেন। এতে তিনি নৌকার মধ্যে লুটিয়ে পড়লে পুলিশের অন্য সদস্যরা তাকে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
বৈদ্যেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা নিয়মিত নদীতে অভিযান পরিচালনা করি। সকালেও দুটি নৌকায় অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ধ্বংস করার জন্য নদী থেকে জাল উঠাচ্ছিলাম। হঠাৎ মাসুম আলী ও তার ছেলে একটি নৌকায় এবং আরো কয়েকজন জেলে ছোট ছোট নৌকায় এসে বৈঠা দিয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে মাসুম আলীর কানের উপর দিকে একটি গুলি লাগে। পরে তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি দাবি করেন, জেলেদের হামলায় ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার ও কনস্টেবল রেজাউল আহত হয়েছেন। তারাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, ঘটনাটি আমরা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী কার্যক্রমে অগ্রসর হবো।