Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার ২৪,শনিবার,২৬অক্টোবর,২০১৯ঃ সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরপাকড়ের শিকার হয়ে আরও ২০০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় সৌদি আরব থেকে তারা দেশে ফেরেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ১৬ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সৌদি আরব থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এর আগের তুলোনায় এবার একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী ফিরে এসেছেন।

জানা যায়, সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে মাত্র পাঁচ মাসে আগে বহু স্বপ্ন নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের আকমত আলী। কিন্তু তার সে স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ (বৈধ অনুমোদন) আরও ১০ মাস থাকলেও তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মত অনেককেই এভাবে ফিরতে বাধ্য করা হয়েছে। ফলে ২০০ পরিবারের ভালো ভাবে বেচেঁ থাকার স্বপ্ন এখন দু:স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

ফেরত আসা গোপালগঞ্জের ছেলে সম্রাট শেখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আট মাসের আকামা ছিল তার। নামাজ পড়ে বের হলে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর কোনো কিছুই না দেখে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ফেরত আসা অন্য এক প্রবাসী বাংলাদেশী সাইফুল ইসলামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তার অভিযোগ, আকামার মেয়াদ দেখানোর পরেও তাকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
সাইফুল আরও বলেন, ‘সবেমাত্র ৯ মাস আগে সৌদি গিয়েছিলেন, আকামার মেয়াদও ছিল ছয় মাস।’

একই ভাবে চট্টগ্রাম জেলার আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আকামা তৈরির জন্য ৮ হাজার রিয়াল জমা দিয়েছেন কফিলকে। কিন্তু পুলিশ আটক করলে কফিল কোনো দায়িত্ব নেয়নি।’

ফেরত আসা কর্মীরা সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। আর কাউকে যেন তাদের মতো এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরতে না হয়, সে দাবিও জানিয়েছেন তারা।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘ফেরত আসা কর্মীরা যেসব বর্ণনা দিচ্ছেন সেগুলো মর্মান্তিক। সাধারণত ফ্রি ভিসার নামে গিয়ে এক নিয়োগকর্তার বদলে অন্য আরেক জায়গায় কাজ করার ফলে ধরা পড়ে এর আগে অনেকে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এবার অনেকেই বলছেন, তাদের আকামা থাকার পরেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই অনেককে ফিরতে হচ্ছে, যারা খরচের টাকার কিছুই তুলতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে এই দায় নিতে হবে। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন গিয়ে এমন বিপদে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’