ক’দিন ধরে দেশের ক্রিকেটে কালবৈশাখীর থাবা। ঝড় তুলেছিলেন সাকিব, সেই ঝড়ের সবশেষ নামটাও হতে যাচ্ছে সাকিব আল হাসান। কদিন আগে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন সেখানে বলেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধ করতে হবে। ফিক্সিং সংক্রান্ত বিষয়েই এবার জড়ালো নন্দিত অলরাউন্ডারের নাম।
আন্দোলন নিয়ে এমনিতেই টালমাটাল গোটা ক্রিকেট অঙ্গন। দোষটা চাপাতে চায় বিসিবির কাঁধে।
আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন সাকিব-এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উত্তাল। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের পক্ষ নিচ্ছেন সবাই। অনেকেই দুষছেন বিসিবি সভাপতিকে। চাইছেন তার পদত্যাগ।
কেউ কেউ ডাক দিচ্ছেন আন্দোলনেরও। এতদিন পর কেন এ খবর ছড়ালো সে প্রশ্ন করছেন অনেক সমর্থক। ভারত সফরের আগেই এমন খবর বের হওয়ায় আইসিসিকেও দুষছেন অনেকে।
তথ্য প্রযুক্তিবিদ সালাউদ্দিন সেলিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নাজমুল হাসান পাপন কতটা শুদ্ধ আমরা তা দেখতে চাই। এসব আবর্জনা মার্কা মানুষ দিয়ে ভিলেজ পলিটিকস চলে কিন্তু আন্তজার্তিক অঙ্গনে টেকা যায় না।’
একজন সাকিবকে যেখানে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না সেখানে পাপনের মতো আবর্জনাকে বিসিবিতে কী দরকার বলে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সাকিবের সব ঘটনা সত্য হলেও নিজের ঘরের ফোন রেকর্ড কীভাবে আইসিসির হাতে যায়? এ সামান্য ব্যাপার যদি পাপন ওভারকাম করতে না পারেন তাহলে এমন অযোগ্য মূর্খ লোক বিসিবিতে থাকার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়াও সাংবাদিক যায়েদ খোকন লেখেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। সাকিব ইস্যুই যার বড় প্রমাণ!’
ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে নানা মত, পক্ষ-বিপক্ষ থাকবেই। তবে যে ঝড় বইছে, শক্ত হাতে সেটি না সামলাতে বড় ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটই।