Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, শুক্রবার,০১নভেম্বর ,২০১৯ঃ সম্প্রতি আইসিসির নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নাম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা লুকানোর দায়ে আইসিসি তাকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইতোমধ্যে যার এক বছর স্থগিতও করা হয়েছে।

তবে এই এক বছরে ক্রিকেট সম্পর্কিত কোনও কিছুতেই যুক্ত হতে পারবেন না সাকিব। তাইতো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, দীর্ঘ এই সময়টা কীভাবে পার করবেন সাকিব?

উত্তর খুঁজতে গিয়ে শোনা যাচ্ছে, পরিবার নিয়ে একটা লম্বা সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ি দিবেন তিনি। তবে সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির অবশ্য বলেছেন, এক বছর পর আরও শক্তিশালী হয়ে ২২ গজে ফিরবেন সাকিব। আবারও দ্যুতি ছড়াবেন ব্যাট-বলে। কিন্তু একটা বছর তো আর কম সময় নয়!

এদিকে, বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ক্রিকেট মাঠে আলো ছড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা-বাণিজ্য খুলে বসছেন এরইমধ্যে। রেস্তোরা, সুগন্ধি থেকে শুরু করে সাকিবের বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার কথা কারও অজানা নয়। তাইতো অনেকেই বলছেন, নিজের এসব ব্যবসা-বাণিজ্যেই হয়তো মনোযোগ দিবেন সাকিব।

তবে আরেকটা কথা হয়তো অনেকেরই অজানা! তা হলো- ওইসব ব্যাবসা ছাড়াও একটা কাঁকড়ার খামারও আছে বিশ্ব সেরা টাইগার অলরাউন্ডারের। দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালী এলাকায় একটি কাঁকড়ার খামার গড়ে তুলছেন তিনি; যার নাম দিয়েছেন ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’।

ইতিমধ্যে খামারটির ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের যে কোনও সময় খামারটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন খামারটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরার ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনীর পোড়াকটলা দাতনেখালী এলাকায় ৫০ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে সাকিবের কাঁকড়া খামারটি। যেখানে এর শ্রমিকদের থাকার জন্য ও কাঁকড়া প্রসেসিং করার জন্য ফ্রিজিং রুমও তৈরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। সাকিবের এই কাঁকড়া খামারে বসানো হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার বক্স। আর এ কাজটিও প্রায় শেষ পর্যায়ে।

জানা গেছে, শুধু এই কাঁকড়ার খামার নয়, পাশাপাশি সাতক্ষীরায় ৩০ বিঘা জমির ওপর একটি চিংড়ি ঘের গড়ে তুলছেন সাকিব আল হাসান।

সাকিব অ্যাগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী ইমদাদুল হক জানান, সাকিব আল হাসানের ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ প্রজেক্টটি চালু হলে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১৫০ জনের ।